ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গবন্ধু হলে থাকা অস্থায়ী ক্যাম্পের এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। রবিবার দুপুরে অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভূক্তভোগী ছাত্রী ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী শেখপাড়া এলাকায় একটি মেসে থাকেন। ফলে বঙ্গবন্ধু হল পকেট গেট দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয়। পকেটগেটের পাশ্ববর্তী এলাকায় হলে একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। প্রতিদিনের মত আজ রবিবার ক্যাম্পাসে আসছিলেন ওই ছাত্রী। এসময় ক্যাম্পের সামনে নিরাপত্তা পোশাকধারী এক ব্যক্তি তার দিকে তাকিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কথা বলতে থাকেন।
একপর্যায়ে ভূক্তভোগী চিৎকার শুরু করলে ওই নিরাপত্তা পোশাকধারী ব্যক্তির ক্যাম্পের ভিতরে চলে যায়। এর আগেও তিনি ওই এলাকায় ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। একইসাথে অভিযুক্তের বিচার দাবি করেছেন অভিযোগ পত্রে। পরে দুপুর একটার দিকে ভূক্তভোগী, অভিযুক্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান কর্মকর্তা রোজদার আলী রূপম ও পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দীনকে নিয়ে বসেন প্রক্টরিয়াল বডি। এসময় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হল পকেট গেট দিয়ে আমি নিয়মিত যাতায়াত করি। আজ (রবিবার) বিশ্ববিদ্যারয়ে আসার সময় সেখানকার পুলিশ ক্যাম্পের সামনে এক পুলিশ সদস্য আমার দিকে তাকিয়ে অশ্লীল ও কুঁরুচিপূর্ণ কথা বলতে থাকেন। এসময় আমি চিৎকার দিয়ে উঠলে তিনি ক্যাম্পের ভিতরে চলে যান। পরে আমি প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে প্রক্টর স্যার আমাকে তার অফিসে ডাকেন। সেখানে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বিষয়টি স্বীকার করেন এবং আমার কাছে ক্ষমা চান। অন্য মেয়েদের সাথে যেন একই ঘনার পূনরাবৃত্তি না হয় এই শর্তে আমি ক্ষমা করেছি।’
পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের পুলিশ সদস্য ও ওই ছাত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ঘটনার পরে প্রক্টর স্যার আমাকে ও সেই পুলিশ সদসকে ডেকেছিলেন। আমরা প্রক্টর অফিসে গিয়েছিলাম। সেখান অভিযোগকারী ছাত্রীও ছিল। আসলে সেই পুলিশ সদস্য ফোনে তার বউয়ের সাথে সাংসারিক ঝামেলা নিয়ে কথা বলছিলেন। ওই ছাত্রী হয়তো ভেবেছিল তার দিকে ইঙ্গিত করে কথা বলেছে, তাই সে খারাপভাবে নিয়েছে। আমাদের দায়িত্বই হলো নিরাপত্তা দেওয়া, আমরা কেন ইভটিজিং করবো?’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা অভিযুুক্তকে শনাক্ত করেছি। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ভূক্তভোগীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে বঙ্গবন্ধু হল পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জকে নিয়ে আগামীকাল (সোমবার) আবার বসবো।’
ক্যামাপলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন