করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ায় ২০২১ সালে অন্তত আড়াই কোটি শিশু নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হাম ও পোলিওর মত প্রাণঘাতী রোগের টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে উঠে এসেছে জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যান বলছে, নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ পড়া শিশুর এই সংখ্যা ২০২০ সালে মহামারীর প্রথম বছরের চেয়ে প্রায় ২০ লাখ এবং ২০১৯ সালে মহামারীর আগের বছরের তুলনায় ৬০ লাখ বেশি।
ইউনিসেফ বিষয়টিকে বর্ণনা করেছে গত এক প্রজন্মের মধ্যে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসেবে। করোনাভাইরাস মহামারী শিশুদের এই নিয়মিত টিকাদানের হারকে পিছিয়ে দিয়েছে ২০০০ সালের আগের সময়ের পর্যায়ে।
মহামারীর প্রথম ধাক্কা সামলে ২০২১ সালে নিয়মিত টিকাদানে উন্নতি হবে বলে অনেকে মনে করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
শিশুদের টিকাদানে দক্ষিণ এশিয়ার অগ্রগতি ‘মহামারীতে ম্লান’
নিয়মিত টিকাদানে ভাটা, স্বাস্থ্যঝুঁকির চোখরাঙানিতে শিশুরা
ইউনিসেফের জ্যেষ্ঠ ইমিউনাইজেশন বিশেষজ্ঞ নিকোলাস ডেনিয়েলসন বলেন, “এটা শিশুদের জন্য অনেক বড় স্বাস্থ্য সংকট। জরুরি ভিত্তিতে এর সমাধান করা প্রয়োজন।”
জাতিসংঘের এ সংস্থা বলছে, ২০২১ সালে সবার মনোযোগ ছিল করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে, পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দা থেকে উত্তরণ এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল দেশগুলোকে। সব মিলিয়ে শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানোর কাজটি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন