দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষ ভালো নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে পাশাপাশি দেশে ব্যবসায়ীরাও ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। মেনন বলেন, এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দেশের মানুষ ভালো নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। আমি মনে করি দুই কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, একটি হলো অভ্যন্তরীণ আর অন্যটি হচ্ছে বৈশ্বিক। দেশের কিছু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। এ কারণে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। আর বৈশ্বিক কারণ তো আমরা সবাই জানি। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।
বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন ও কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে এখনো এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে সরকার উৎখাতের আন্দোলন করতে হবে।
আমরা কোনো আন্দোলনে যাবো না। কিছু দল বলছে যুগপৎ আন্দোলনের কথা। কিন্তু চোখে তো দেখছি না কিছু। আসলে কি এটি কিসের আন্দোলন? সরকার উৎখাতের আন্দোলন কিনা? যারা এই আন্দোলনের কথা বলছে তাদের সেই আন্দোলন করার সক্ষমতা রয়েছে কিনা সেটাও দেখার বিষয়।
রাশেদ খান মেনন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো। সেটা দলীয় সরকারের অধীনে হোক বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হোক। আমার দল এককভাবে নয় জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে।
ইভিএম নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি যে মতামত দিয়েছিল তা নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করবে এমনটি আশা করে আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী এই নেতা বলেন, আমরা আশা করছি তারা বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন।
ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে মেনন বলেন, বর্তমান ছাত্র রাজনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। ছাত্র রাজনীতি যেটা আছে তা হলো ছাত্র সংগঠনের নামে সুবিধা নেয়ার রাজনীতি। দলীয় রাজনীতি এইসব সুবিধাভোগী ছাত্রনেতাদের বহন করছে। গত দুই দশক ধরে এই নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। ছাত্র রাজনীতি মানেই ক্ষমতার যুদ্ধ। যখন যেই দল ক্ষমতায় আসে তখন ছাত্ররা সেই দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। এর একটাই কারণ সরকারি দল করলে সুবিধা নেয়া যায়। বর্তমান ছাত্রনেতারাও তাই করছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন