দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটিতে ছেলের খুনিদের পদ-পদবি না দিতে আকুতি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আবদুল মালেক চৌধুরী জনির মা খালেছা বেগম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর ফিরিঙ্গি বাজারস্থ নিজ বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি এ আকুতি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত জনির ছোটভাই আবদুল মাজেদ চৌধুরী ও আবদুল ওয়াহাব চৌধুরী।
খালেছা বেগম চৌধুরী বলেন, জনির পিতা মৃত আবদুল খালেক চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বরেণ্য রাজনীতিবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর বোন হই। আমার ছেলে জনি ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহবায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি তাকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকালে আন্দরকিল্লা পার্টি অফিসের সামনে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এজন্য তিনি দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোহাম্মদ ফারুক ছাড়াও আবু শাহাদাত মোহাম্মদ সায়েম, এএনএম ফরহাদুল আলমসহ ২০-৩০ জনকে দায়ী করেন। তারা অনুষ্ঠানে এসে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করতে করতে জনির মৃত্যু নিশ্চিত করে। ১০ বছর পরও আমরা এ হত্যার বিচার পাইনি।
নিহত জনির মা বলেন, ওই ঘটনায় সাংগঠনিক ইউনিট থেকে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বে না আনা এবং অনেককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য আমার জনিকে জীবন দিয়ে চরম মূল্য দিতে হয়েছে।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে আকুতি জানিয়ে বলেন, সন্তানহারা মা হিসেবে আমার ছেলের খুনিরা যাতে যুবলীগের আসন্ন সম্মেলনে কোনো পর্যায়ে কোনো পদ যাতে না পায় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হোসেন খান নিখিল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈমসহ সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছি। কারণ এই খুনিরা যুবলীগের নেতৃত্বে স্থান পেলে দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সন্ত্রাসী, খুনি ও মাদক কারবারিদের একটি প্লাটফর্মে পরিণত হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন