মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান বলেন, ‘বাচ্চাদের শিক্ষা দেবেন মুক্তিযুদ্ধ কি, বঙ্গবন্ধু কি, মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের ইতিহাস কি, কীভাবে যুদ্ধ করেছে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা। পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করতে হবে। দেখেন না, এখন খেলার মাঠে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে বাচ্চারা। বাংলাদেশের বুকে পাকিস্তানের পতাকা উড়ায়। আমাদের লজ্জা করে, রক্তক্ষরণ হয় হৃদয়ে। কি করে এই বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিল ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম দিল সেই বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আমাদের সন্তানরা মুখে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলবে আর পাকিস্তানের পতাকা ওড়াবে, মুখে পতাকা আঁকবে তারপরেও কি আমরা বলতে পারি? আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন করতে পেরেছি? আমাদের দায়িত্ব রয়েছে; এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।’
শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের এখনো বাংলাদেশে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন রাজাকারের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। যে করেছে সে সেই রাজাকারের ছেলে এবং মেয়র তাও আবার আওয়ামী লীগের।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, আমাদের চট্টগ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধা মারা গিয়েছেন একজন আওয়ামী লীগের নেতা তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে দেয়নি। সেই প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা যখন রাস্তায় নেমেছে তাদের ওপর হামলা করেছে ওই আওয়ামী লীগ নেতা। যারা এইগুলো করে তারা আওয়ামী লীগ হতে পারে না, তারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হতে পারে না। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও অবহিতকরণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান খান সহ মুক্তিযুদ্ধকালীন মাদারীপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন