চিতলিয়া ইউনিয়নে কোনো নির্বাচন হবে না, সবাই সিলেক্টেড হবেন- এ কথা এমপি মহোদয় বলেছেন’।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে শরীয়তপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ও চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনকে এ সব কথা বলতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় নির্বাচন করতে না পারলে আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মেম্বার প্রার্থীদের কেউ কেউ।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার তো এ রকম বলার কথা না। যদি বলে থাকি, তবে কোন প্রেক্ষিতে বলেছি মনে পড়ছে না।’
এদিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ২, ৫ ও ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য এবং ৭, ৮, ৯ সংরক্ষিত নারী সদস্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে স্বাক্ষর দেননি। তবুও জাল স্বাক্ষরে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২ নম্বর ওয়ার্ডে খোকন ফরাজি, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আনিছউদ্দিন মোল্লা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য শফিকুল ইসলাম এবং ৭, ৮, ৯ সংরক্ষিত নারী সদস্য ফুল মালা বেগম, ফাতেমা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিনের জাল স্বাক্ষরে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে দাবি করে তারা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
ফুল মালা বেগম, ফাতেমা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন দাবি করেন, ২৬ অক্টোবর ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। কিন্তু গতকাল আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে আসিনি। সন্ধ্যায় দেখি আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রুমা আক্তার বিজয় মিছিল করছেন।
তারা বলেন, প্রতীক আনতে গিয়ে দেখি আমাদের স্বাক্ষর জাল করে আমাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ করবো। আমরা নির্বাচন করতে চাই।
খোকন ফরাজি, আনিছউদ্দিন মোল্লা ও শফিকুল ইসলাম দাবি বলেন, আমরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করিনি। কিন্তু আজ প্রতীক আনতে গিয়ে দেখি, আমাদের স্বাক্ষর জাল করে কারা যেন আমাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করিয়েছে। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করতে গেলে, তিনি অভিযোগ নিচ্ছেন না।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন, তাদের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন আমাদের কাছে আছে।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া, ডোমসার, পালং, তুলাসার, রুদ্রকর, শৌলপাড়া, মাহমুদপুর, চন্দ্রপুর ও বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিনোদপুর আব্দুল হামিদ সাকিদার, চন্দ্রপুর আব্দুস সালাম খান ও চিতলিয়া হারুন-অর-রশিদকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা চিতলিয়া ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য ১৩ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে মেম্বার ঘোষণা করেছেন বলে জানান জাহিদ হোসেন।
যোগাযোগ করা হলে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এটা আমার কোনো কাজ না। এ বিষয়ে কারও সঙ্গে আমি কোনো কথা বলিনি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন