‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দব্যমূল্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এর কোনো লাগাম টেনে না ধরে বরং দব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির পেছনে আওয়ামী সিন্ডিকেটকে উৎসাহিত করছে। যার ফলে চাল-ডাল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দব্যমূল্য প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার কোনোরকম ব্যবস্থা করতে পারছে না।’
রোববার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আজকে দব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যেমন নিষ্পেষিত; তেমনিভাবে আওয়ামী দুঃশাসনে, তাদের অত্যাচার-নির্যাতন-চাঁদাবাজিতে নিষ্পেষিত।’
মোশাররফ বলেন, ‘আজকে জনগণের দাবি একটাই; আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণে হতে হবে। সে নির্বাচন হতে হলে শেখ হাসিনা সরকার হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে আগামী নির্বাচন করতে হবে। জনগণ যাদের চায়, তাদের ভোট দিয়ে এ দেশে সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। আর তাহলেই এ দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এদেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই; তাহলে এই মাত্র লক্ষ্য হবে এ সরকারকে বিদায় দেওয়া। এ সরকারকে বিদায় না দিতে পারলে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব হবে না। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিগত করোনার কারণে গরিবের সংখ্যা বাড়ছে। আগে যেখানে শতকরা ২০ ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে ছিল করোনার কারণে আরও ২০ ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে এসেছে। এ সরকার দব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। আমরা অভিযোগ করতে চাই, এ সরকার জানে দব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে যে সিন্ডিকেট আছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক, ব্যবসায়ী। তাদেরকে সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কারণ তারা জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়।’
মোশাররফ আরও বলেন, ‘দেশে যখন এ পরিস্থিতি তখন সরকার নানা ষড়যন্ত্র করছে। আমরা বলতে চাই, যারা এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বাংলাদেশে অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তারা আজকের এ সরকার। কেননা আগামী দিনে যে আন্দোলন-সংগ্রাম রয়েছে সেদিক থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোর জন্য, জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য এটা করা হচ্ছে।’
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন