ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়- এই দাবিতে অনড় বিএনপি। দাবি আদায়ে রাজপথে সক্রিয় থাকার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতারা। এদিকে টানা তিন জাতীয় নির্বাচনে নৌকার জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সাংগঠনিক শক্তিমত্তা নতুন করে যাচাই করছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন সামনে রেখে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের বিএনপিকে এক বিন্দুও ছাড় না দেওয়ার কৌশলও রয়েছে দলটির।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, গণতন্ত্র মানে শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা নয়, গণতন্ত্র হলো উন্নয়নের রক্ষাকবচ। কাজেই সেই শান্তি ও উন্নয়নের ব্যাঘাত ঘটিয়ে কোনো আন্দোলন হলে তা গণতন্ত্রের পক্ষের কেউ মেনে নেবে না। তারা যদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে, সেই আন্দোলনকে আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করে, উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করে আন্দোলন করতে চয়, তাহলে আমরা দল হিসেবে তাদের প্রতিহত করব।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, গণমুখী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই এই দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে উন্নয়ন অগ্রগতির জন্যই আওয়ামী লীগ কাজ করে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি এবং আমাদের দলকে তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা একটি ভয়াবহ দুঃসময় অতিক্রম করছি। আজকে একটি সরকার জবরদখল করে বসে আছে। যারা আমাদের ৫০ বছরের সকল অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই দুঃসময় শুধু সংবাদমাধ্যমের নয়, এই দুঃসময় শুধু বিএনপির নয়। এই দুঃসময় পুরো জাতির।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রথম আওয়ামী লীগের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই পাঁচটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগ এই পদ্ধতি বাতিল করে। তারা এখন ভোট ব্যবস্থাপনার কবর রচনা করেছে। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, কাউকে ভোট দিতে কেন্দ্রেও যেতে হয় না। দিনের ভোট আগের রাতে হয়ে যায়।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমার মনে হয় আমাদের নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আর নির্বাচন কমিশনে কে থাকবেন, না থাকবেন- এই তর্কে কোনো সময় দেওয়ার দরকার নাই। এ নিয়ে কোনো আলোচনা বা আন্দোলনের দরকার নেই। যে যেই ব্যানারেই আন্দোলন করেন না কেন, আন্দোলন হবে একদফা শেখ হাসিনার সরকারের পতন। আমাদের সকল চিন্তা, চেতনা, সামর্থ্য, শক্তি একত্রিত করে এই আন্দোলনে নেমে পড়তে হবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন