০৩ আগস্ট ২০২১, ২২: ১০ প্রথমআলো নিউজ থেকে সংগ্রহ,,,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘মাচাং’ তৈরি করেন যুবলীগের এক সাবেক নেতা। বসার এই আসন ফিতা কেটে উদ্বোধনও করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে (ভাইরাল)। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার মুখে ওই ব্যক্তিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে যুবলীগ। বগুড়ায় ঘটেছে এ ঘটনা।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৯:১৬ দেশরুপান্তর নিউজপোর্টাল থেকে সংগ্রহ..........
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনের বাগানে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ এবং সেই সঙ্গে একটি বৃক্ষ রোপণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি এই বৃক্ষ রোপণ করেন।
বহিষ্কার হওয়া ব্যক্তির নাম আনিছার রহমান ওরফে খলিল। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বাড়ি ইউনিয়নের আশোকোলা গ্রামে।
এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার আশোকোলা গ্রামের সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন স্থানে বাঁশের খুঁটি দিয়ে মাচা তৈরি করেন আনিছার। বসার আসনটির নাম দেন ‘বঙ্গবন্ধু মাচাং’। এরপর তিনিসহ কয়েকজন ফিতা কেটে সেটির উদ্বোধন করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গোকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামও।
স্থানীয় একজন সাংবাদিককে ডেকে ওই মাচা উদ্বোধনের ছবি তোলা হয়। সেই ছবি পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। ছবিটি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। এতে সমালোচনার মুখে পড়েন যুবলীগের সাবেক নেতা আনিছার।
বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে আনিছার রহমানের মুঠোফোনে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। আর আওয়ামী লীগের নেতা রফিকুল ইসলাম ফোন ধরেননি।
ছবিটি যে সাংবাদিক তুলেছিলেন, তাঁর নাম আকাশ ইসলাম। তিনি বগুড়া থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকায় কাজ করেন।
আকাশ ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাড়িও আশোকোলা গ্রামে। স্থানীয় লোকজনের বিশ্রাম ও আড্ডার সুবিধার্থে যুবলীগের সাবেক নেতা আনিছার সেখানে মাচাং তৈরি করেন। সেখানে বসতে আসা লোকজন যাতে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করেন, সে জন্য তিনি নাম দেন ‘বঙ্গবন্ধু মাচাং’। সেটির উদ্বোধনের ছবি তুলতে তাঁকে (আকাশ) ডাকা হয়। আওয়ামী লীগের নেতা রফিকুল সেখানে থাকলেও ছবি তুলতে রাজি হননি।
ফেসবুকে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর নানামুখী সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করতে থাকেন। এ অবস্থায় জেলা যুবলীগের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সোমবার সন্ধ্যায় আনিছারকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে মাচাং তৈরি এবং সেটি উদ্বোধনের ছবি ফেসবুকে দেওয়ার মাধ্যমে যুবলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন আনিছার। এ কারণে তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা সব সময় শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই ছিল তার এই সংগ্রাম। সেখানে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের কথাও যেমন তিনি ভেবেছেন, তেমনি সারা বিশ্বের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য জর্জরিত, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কথাও তিনি বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করো সঙ্গে বৈরিতা নয়, এটাই ছিল তার লক্ষ্য। কারণ, এতে করেই শান্তি আসবে এবং শান্তির সন্ধানেই তিনি ছিলেন। শান্তির জন্যই তিনি সংগ্রাম করেছেন। আর শান্তি ছাড়া কখনো কোনো দেশের উন্নতি হয় না।
তিনি বলেন, আজ এখানে একটি বৃক্ষরোপণ করা হলো সেই সেপ্টেম্বর মাসে যে মাসে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় (১৭ সেপ্টেম্বর) এবং তারপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে আসেন এবং এখানে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন (২৫ সেপ্টেম্বর)।
কাজেই, সেই মাসে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তরের লনের বাগানে বৃক্ষরোপণ করা হলো এবং একটি চেয়ার উৎসর্গ করা হলো। এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বারতাই বয়ে বেড়াবে বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বৃক্ষ যেমন পরিবেশ রক্ষা করে তেমনি মানুষকে খাদ্য ও ছায়া দেয়। আর মানুষের জীবনকেও রক্ষা করে।
এ জন্য তিনি জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন