জাতীয় মহিলা পার্টির আহবায়ক, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, সামনে আমাদের জন্য সুদিন অপেক্ষা করছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশ এবং সাধারণ মানুষকে যে ভালোবাসতেন মানুষ তা ভুলেনি, তাদের অন্তরে তা লালন করে রেখেছেন। একটু সুযোগ পেলেই তা প্রকাশ করবে। এজন্য দলকে সংগঠিত করতে হবে।
শনিবার মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির কর্মী সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। শিক্ষা, চিকিৎসাসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন, যা প্রশংসার দাবি রাখে।
তিনি বলেন, আমরা নারীরা মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। কাজেই আমরা যদি সবাই মিলে পল্লীবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারি তবে জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে, আর জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাওয়া মানে দেশ সমৃদ্ধ হবে।
সালমা ইসলাম এমপি উপস্থিত নারী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করে এখানে উপস্থিত হয়েছেন, এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। নারীরা আজ অবহেলার পাত্র নয়। নারীসমাজ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বারগতিতে, আপনাদের পাশে থেকে আমিও এগিয়ে য়েতে চাই পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য।
তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু গ্রাম্য সহজ-সরল মানুষের জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। তান সুযোগ্য উত্তরসূরি পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নির্দেশনায় আমরা সারা দেশে মহিলা পার্টিকে সুসংগঠিত করছি।
তিনি আরও বলেন, মুন্সীগঞ্জে আমার জন্ম; আমি এ মাটির সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করি। আপনাদের সন্তান হিসেবে আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব।
মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির আহবায়ক কাকলী বেগম কাকনের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. আবদুল বাতেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক তিতাস মোস্তফা, মহিলা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসমা আক্তার রুমি সীমানা আমির, রওশন আক্তার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি নোয়াব মিয়া। সদর উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টি নেতা আওলাদ হোসেন, মো. হাবিবুর রহমান সেলিম, আরিফুজ্জামান দিদার, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবদুল বাতেন বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে জাতীয় পার্টির মাজা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টি ভাঙা এত সহজ নয়, প্রতিটা ঘরে ঘরে জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসার লোক আছে। তারা যখন এক হবে তখন আর ধরে রাখা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখেন জাতীয় পার্টিকে আটকানো যায় কিনা।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিতাস মোস্তফা বলেন, নারীদের নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা নাই, তাদের ঠিকানা কখনো বাবার বাড়ি, কখনো স্বামীর বাড়ি- শেষ বয়সে এসে হয় সন্তানের বাড়ি। নারীদের ঠিকানা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সালমা ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় মহিলা পার্টি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন