রাজধানীর দুই থানার পৃথক চার মামলায় আলোচিত হেলেনা জাহাঙ্গীর দিনের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন রিমান্ড শেষে জাহাঙ্গীরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আসামির রাজধানীর গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দশ দিন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পাঁচ দিন এবং পল্লবী থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ও প্রতারণার মামলায় সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। এরপর শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান পল্লবী থানায় দুই মামলায় আট দিন এবং ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী গুলশান থানার দুই মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গুলশান থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পল্লবী থানার পুলিশ তাকে ওই দুই মামলায় ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত এই নেত্রীর উত্থানের পেছনে কারা রয়েছেন- এমন প্রশ্ন তুলেছেন চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের নেতা। জেলেনা জাহাঙ্গীরের দোষের পরিমাপ সম্পর্কেও প্রশ্ন তুলেছেন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু প্রশ্ন তুলে বলেছেন, 'হেলেনা কতোটা দোষী?' তিনি বলেন, উনি ব্যাবসায়ী হিসেবে অর্থ লগ্নি করেছেন। আর সেই অর্থ অনেকে গোপনে ভোগ করেছেন। দেখিয়েছেন আশার আলো। খেয়েছেন গোপনে দাওয়াত। আসল মোশতাক তো আপনারা! টাকার কাছে দলীয় সত্তা বেঁচে দেন। এখন তারে ধরার পর সবাই চিল্লায় চলে গেছেন।'
ছাত্রলীগের এই নেতা স্পষ্ট না বললেও হেলেনা জাহাঙ্গীরের উত্থানের নেপথ্যে আরো অনেকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করার চেষ্টা করেছেন।
এদিকে গত ২৯ জুলাই রাত ৮টার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডের বাসভবনে অভিযান শুরু করে র্যাব। এরপর দীর্ঘ চার ঘন্টা ধরে অভিযান চালানো হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গত ৩০ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। এরপর গত ৩০ জুলাই গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন