জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, জীবন সুরক্ষার প্রশ্নে যখন রাষ্ট্রীয় সকল অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে, সারাদেশে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে তখন 'জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস' বা পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা কোনোক্রমেই রাষ্ট্রের জন্য অতিজরুরি কাজ হতে পারে না। পদক কখনো জীবনের চেয়ে মূল্যবান হতে পারে না।
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। জনগণের প্রাণ বাঁচানোর বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে আ স ম রব বলেন, যখন স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে নাগরিকদের গ্রেপ্তার ও জেল জরিমানা করা হচ্ছে তখন পদক প্রদানের জন্য শারীরিক উপস্থিতি ও সমাবেশ আয়োজন সরকারের করোনা নিয়ন্ত্রণের সকল কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। করোনার ভয়াবহ বিস্তার এবং কঠোর লকডাউনের মধ্যে এই ধরনের অনুষ্ঠান শুধু মৃত্যুঝুঁকি নয়, সরকারের ঘোষিত লকডাউন পরিস্থিতির সাথেও সাংঘর্ষিক। এর মাধ্যমে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দূরত্ব বজায় রাখেননি। তাছাড়া অনেককেই মাস্ক ছাড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। উচ্চপদের সরকারি কর্মকর্তাদের এমন অসতর্ক আচরণ দেশবাসীকে বিভ্রান্তিতে ফেলবে।
আ স ম রব বলেন, দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু, সংক্রমণ অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। এখন মৃত্যুহারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়। প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে করোনার মৃত্যুহার বেশি। করোনা মহামারীতে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। এই অবস্থায় ওসমানী মিলনায়তনে পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা কোনোক্রমেই সরকারের সুবিবেচনার বহিঃপ্রকাশ নয়।
তিনি আরও বলেন, করোনা রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনকহারে বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে আইসিইউর চাহিদা। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে একই চিত্র। কোথাও নেই আইসিইউ বেড। একটি আইসিইউ বেডের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ জন রোগীকে। করুণ বাস্তবতা হচ্ছে, একজন রোগীর মৃত্যুর পর কেবল আইসিইউ বেড পাচ্ছে অপেক্ষারত অসংখ্য রোগীদের কেউ একজন।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন