ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের পদে থাকা আলোচিত রায়হান রনিকে উভয় দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের জেলা নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেশ কয়েকদিন ধরে রায়হান রনিকে নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। একই ব্যক্তি ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
রায়হান রনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পৌরসভার বাসিন্দা। তিনি যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ালেখা করতেন।
সদ্য ঘোষিত ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ দেওয়া হয় রায়হান রনিকে। কিন্তু রায়হান রনি আগে থেকেই পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক পদে ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানান, ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের পদ পাওয়া রায়হান রনি একই ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও তথ্য গোপন করে তিনি ছাত্রলীগের পদ বাগিয়ে নেন।
তবে অভিযুক্ত রায়হান রনি শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কোনদিনই ছাত্রদলের রাজনীতি করেননি। ছাত্রদলের রায়হান রনি এবং ছাত্রলীগের রায়হান রনি একই ব্যক্তি কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রদলের রায়হান রনি নামে কেউ থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা আমি নই।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস গত ২৩ জানুয়ারি ২১ সদস্য বিশিষ্ট আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি করেন। সেই কমিটিতে ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন রায়হান রনি। অপরদিকে গত ১২ জুন আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে রায়হান রনিকে সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়।
রনিকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজীদুল রশীদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠায় আমরা বিষয়টি তদন্ত করি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাই। ফলে শনিবার জরুরি সভা করে পৌর ছাত্রলীগের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি–আদর্শ লঙ্ঘনের দায়ে রায়হান রনিকে ছাত্রদল আলফাডাঙ্গা পৌরসভা কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন