সরকার সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যে রাজনৈতিক দলটি দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছে গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য সেই দলটির হাতেই গত এক যুগ ধরে এদেশের মানুষ যেভাবে অত্যাচারিত-নির্যাতিত হচ্ছে-এটা ধারণার বাইরে। সারাদেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নিঁখোজ এম ইলিয়াস আলীর পরিবারের সাথে কথা বলার পরে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে ঢুকার আগে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ জন গোয়েন্দা বাহিনীর লোক দাঁড়িয়ে আছে, এবং তাদের কাজটাই হচ্ছে যে, এভাবে গোটা বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা। স্বাধীনতার চেতনার পরিণতি কি এটা? এই পরিণতি হয়েছে।
তিনি বলেন, নো বডি সেভ ইন দিস কান্ট্রি। এদেশে কেউ নিরাপদ নয়। এখানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এমন পর্যায় চলে গেছে যে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের তো বটেই সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আওয়ামী লীগ দেশ চালাচ্ছে কিনা সে প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বার বার বলেছি, আবারো বলছি- সরকার এগুলো বন্ধ করুক। আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয়, আসলে কী আওয়ামী লীগ দেশ চালায়? এটা আমার কাছে একটা বড় প্রশ্ন। আমি খুব সিনসিয়ারলি এই কথাটা বলছি- কে দেশ চালায়? সাধারণ মানুষ যারা আছি অথবা রাজনীতি যারা করি তারা বুঝতে পারি না।
কার ইঙ্গিতে এসমস্ত ঘটনাগুলো ঘটছে?
ইলিয়াসের পরিবারের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ কন্ঠে মির্জা ফখরুল বলেন, এই যে ইলিয়াসের দুই ছেলে একজন ব্যারিস্টার হয়েছে। ইলিয়াস যখন নিখোঁজ হয়ে যায় তখন ওরা দুই ছেলে ছোট, মেয়েটা ছোট ছিলো। ওদের মা.. এরা জানে না ওরা কি করবে? বাবার জন্য কী কোনো কুলখানি করবে, কোনো কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে দোয়া করবে। তারা তো জানে না বাবা কোথায়? এটাই বাস্তবতা। এই যে নির্মম অত্যাচার সারা জীবনের জন্য তাদের বহন করতে হবে এই কষ্টটা, এই বেদনাটা। শুধু রাজনীতির কারণে তাদের বাবাকে তুলে নিয়ে গেছে জোর করে।
এই সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও যুব দলের সাবেক সহসভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন