দেশের নগরাঞ্চলের বাসিন্দারা মাসের মোট ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি খরচ করে খাদ্যের পেছনে। আর ঘরভাড়ার জন্য তাদের ব্যয় হয় খরচের এক পঞ্চমাংশ। মাথাপিছু মাসিক খাদ্য ব্যয় দুই হাজার টাকার বেশি। খাবার নিয়ে চিন্তায় থাকেন ২১ শতাংশের বেশি মানুষ। আর খাবার না পেয়ে একবেলা উপোস থাকতে হয়েছে ৭ শতাংশকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। অবশ্য বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে জনগণভিত্তিক উল্লেখ করা হলেও জরিপটি খানা ভিত্তিতে করা হয়েছে।
নগরাঞ্চলে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধাভোগী নির্বাচনের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে খাদ্য নিরাপত্তা ও আর্থ-সামাজিক বৈশিষ্ট্য নিরূপণের জন্য ‘নগর আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিরূপণ জরিপ ২০১৯’ শিরোনামে পরিচালিত হয়। জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশলপত্র বাস্তবায়নে শহরাঞ্চলের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের সুবিধাভোগী নির্বাচন পদ্ধতি প্রণয়নে ২০১৯ সালের ৮-২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জরিপ চালানো হয়। নিম্ন আয়ের অংশকে প্রাধিকার দিয়ে উচ্চ, মধ্যম ও নিম্ন আয়ের ভিত্তিত্তে নির্বাচিত ৮৬টি প্রাথমিক নমুনা এলাকা হতে দুই হাজার ১৫০টি নগরাঞ্চলের খানা হতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপটি নিম্নআয়ের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে পরিচালনার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনটি শ্রেণির মানুষের প্রায় সমান প্রতিনিধিত্ব ছিল।
বিভাগীয় শহর ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে।
পথশিশু খাবার খাচ্ছে
অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করতে জরিপটি করা হয়েছে বলে এর ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক মো. আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে জানান। তিনি বলেন, ৫ শতাংশ উচ্চ, ২০ শতাংশ মধ্যম ও ৭৫ শতাংশ নিম্ন শ্রেণির খানার প্রতিনিধিত্বে জরিপ পরিচালনার উদ্যোগ থাকলেও বাস্তবে কাজ করতে গিয়ে তিন শ্রেণির প্রায় সমান প্রতিনিধিত্ব পাওয়া গেছে। ফলে জরিপের ফলাফল জেনারেলাইজ বলতে পারেন।
জরিপে দেখা গেছে, শহরাঞ্চলে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সুবিধাভোগী খুবই কম পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, শিক্ষার সর্বস্তরের উপবৃত্তি, পেনশন ও খোলাবাজারে ক্রয় (ওএমএস)সহ ২০ ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগী মাত্র ১১.৭৯ শতাংশ। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি সর্বোচ্চ ৩.৩৮ শতাংশ। এছাড়া বয়স্ক ভাতা ২.২০ শতাংশ, ওএমএস ১.২৭ শতাংশ ও পেনশন কর্মসূচি ১.৩৮ শতাংশ।
জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী মাথাপিছু ভোগকৃত উপকরণসমূহের ব্যয় তিন হাজার ৯৬৬ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চার হাজার ৪২ টাকা এবং অন্যান্য শহরে তিন হাজার ৬৮৩ টাকা। ভোগ্যপণ্যের মধ্যে খাদ্যে ব্যয় দুই হাজার ২৭ টাকা এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে এক হাজার ৯৩৯ টাকা।
মাসের মোট ব্যয়ের মধ্যে খাদ্যে ৫০.৭৫ শতাংশ, ঘরভাড়া ২০.৮১, চিকিৎসা ৪.৭২, বিদ্যুৎ বিল ৪.৭২, পোশাক ৩.২২, যাতায়াত ৩.১৩, শিক্ষা ২.৪, প্রসাধন টয়লেট্রিজ ও পরিষ্কার দ্রব্য ২.১৬, জ্বালানি ২.১৬, মোবাইল বিল ১.৬২, সামাজিক অনুষ্ঠান/ধর্মীয় অনুষ্ঠান/দান ১.০৮, পানি, ডিশ ও টেলিফোন বিল ০.৯১ শতাংশ, জুতো/স্যান্ডেল ০. ৯১ বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ গৃহকর ০.৫৮, ব্যক্তিগত পরিচর্যা ০. ৪১, আসবাবপত্র বাসন-কোসন ০.৩৩, গহনা ০. ৩১, গৃহকর্মী ০.২৪, আইন ফি ০.২২, বিছানাপত্র ০.২২, বিনোদন ০.১৩ এবং অন্যান্য ০.০৪ শতাংশ।
খাবার খাচ্ছে এক পথশিশু
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী বিগত ৩০ দিনে (জরিপের সময়কালের) পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় চিন্তিত ২১.২৫, পছন্দের খাবার খেতে পারেনি ২০.২৫, অল্প কয়েক খাবার খেতে হয়েছে ১৬.৬৩, অপছন্দের খাবার খেতে হয়েছে ১৪.৯৬, প্রয়োজনের তুলনায় কম খেয়েছে ১৪.৪৮, খাবার না থাকায় একবেলা উপোস থেকেছে ৬.৯৪, খাবার ছিল না/খাবার কেনার টাকা ছিল না ১১.৫১ এবং রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে গিয়েছে ৮.২২ শতাংশ।
গত এক বছরে বিভিন্ন কারণে ২৯.৭৪ শতাংশ অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য ১১.৭৯ শতাংশ বিপর্যয়ে পড়েছেন।
জরিপ অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা থেকে নগরে নগরে স্থানান্তরিত হওয়ায় এগিয়ে রয়েছে ভোলা জেলা। স্থানান্তরিত জনগণের ১৭.১১ শতাংশ এ জেলার। এছাড়া বরিশাল থেকে ১০.৬৯, সিরাজগঞ্জ থেকে ৫.৯৮, ঢাকা জেলা থেকে ৫, কুমিল্লা থেকে ৪.৭৮, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে ৪.৩৬, চট্টগ্রাম থেকে ৩.৭৭ ও ফরিদপুর থেকে ২.৮৬ শতাংশ শহরাঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
I in addition to my buddies came looking through the good key points on your web blog while unexpectedly I had an awful suspicion I had not expressed respect to the site owner for those strategies. All of the guys had been stimulated to read all of them and have in fact been taking advantage of them. Many thanks for genuinely quite considerate and also for choosing this sort of extraordinary issues most people are really desperate to be informed on. My honest apologies for not saying thanks to you sooner.
Thank you for all of the labor on this web page. Ellie really likes working on investigations and it is easy to see why. My partner and i notice all relating to the dynamic means you deliver great tips by means of your website and therefore recommend contribution from visitors about this subject so our princess is truly becoming educated a great deal. Have fun with the rest of the new year. You are conducting a tremendous job.
I wish to express thanks to this writer just for rescuing me from such a instance. After surfing through the the net and getting things which are not beneficial, I believed my entire life was gone. Living without the presence of answers to the issues you've solved through your entire write-up is a critical case, as well as the kind which might have badly affected my career if I hadn't come across the website. Your know-how and kindness in controlling all the things was priceless. I'm not sure what I would have done if I hadn't come across such a point like this. It's possible to at this moment look ahead to my future. Thank you so much for the skilled and effective help. I won't hesitate to suggest your web blog to any individual who needs and wants counselling about this area.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন