খেলোয়াড়দের বাজে পারফরমেন্সে অন্য সবার মতো আহত হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। কিন্তু গণমাধ্যমে তার বেফাঁস মন্তব্য প্রভাব ফেলে মাঠের ক্রিকেটেও। স্কটল্যান্ডের সঙ্গে হারের পর গণমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য না করে, ক্রিকেটারদের আলাদা ডেকে কথা বললে ভালো হতো বলে মনে করেন, সাবেক পেসার মোহাম্মদ শরীফ। অন্যদিকে, বিশ্বকাপের মতো মেগা আসরে ক্রিকেটারদের নানা মন্তব্যে চাপে না রেখে, উৎসাহ দেওয়ার পরামর্শ সাবেক স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের।
গণমাধ্যমে নানা সময় নানা মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। স্কটল্যান্ডের সঙ্গে হারের পর গণমাধ্যমে দল নিয়ে নানা মন্তব্য। চাপ বাড়ে ক্রিকেটারদের। ওমানের সঙ্গে সহজ ম্যাচ জেতে কঠিন করে।
সৌম্যের বদলে নাঈম শেখকে খেলাবেন। কিংবা সাকিব, মুশফিক, রিয়াদের ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা গণমাধ্যমের সামনে করতে হবে কেন। টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ ও খেলোয়াড়দের ডেকে নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করাই কি সমীচীন ছিল না বিসিবি বসের। সাবেকরাও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন না।
সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরীফ বলেন, 'নৈতিকতার দিকে থেকে যদি বলি তাহলে বিসিবি সভাপতি ম্যাচ চলাকালে এ কথা না বললেও পারতেন। কিন্তু তিনি দলকে এবং দলের সবাইকে অনেক ভালোবাসেন এটাও সত্য।'
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি, দক্ষিণ আফ্রিকার সভাপতি গ্রায়েম স্মিথ কিংবা ইংল্যান্ডের অ্যাশলে জাইলস। কাউকেই দল নিয়ে গণমাধ্যমে এত মন্তব্য করতে দেখা যায় না। কিন্তু টস থেকে একাদশে কারা কারা খেলবেন সবই পাপনের জানা চাই। হিতে বিপরীত হয়ে যাচ্ছে না তো?
সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক জানান, 'এতো আলোচনা কেন হচ্ছে? আমরা নিচের সারির দলের সঙ্গে খেলছি বলে আলোচনা উঠেছে। যদি টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর সঙ্গে হারতাম তবে এতো আলোচনা হতো না।'
বোর্ড স্কোয়াড ঘোষণা করার পর একাদশে কারা খেলবেন তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব কোচ আর অধিনায়কের। সেখানে হস্তক্ষেপ করা কতটা ক্রিকেটীয় আচারের মধ্য পড়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন