বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) হারারেতে টসে জয়লাভ করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তিনি বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান।
বল হাতে শুরুটা দুর্দান্ত করেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন মারুমানির (৭) উইকেট। দলীয় স্কোর তখন ১০। এরপর ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৪ রান যোগ করেন মাদিভেরি ও রেগিস চাকাভা। এরপর মাদিভেরিকে (২৩) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান।
ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা চাকাভাকে (২২ বলে ৪৩) তুলে নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান সোহান।
শরীফুলের করা ১১তম ওভারে খেলায় পাল্টা চাপ বিস্তার করে বাংলাদেশ। ওভারের প্রথম বলে চাকাভাকে রান আউট করেন নুরুল। পঞ্চম বলে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগেই। তার আউটেও আছে নুরুলের অবদান। খোঁচা মারতে গিয়ে তাকে ক্যাচ দেন রাজা।
বল হাতে উইকেট পেয়েছেন সৌম্য সরকারও। তিনি মুসাকান্দার (৬) উইকেট তুলে নেন। পরের উইকেটটি তুলে নেন শরিফুল। ২২ বলে ৩৫ করা মায়ার্সের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি। শেষ দিকে লুক জঙ্গউইয়ের (১৮) ব্যাটে ভর করে ১৫২ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজ ৩টি, সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ২টি করে এবং সাকিব ও সৌম্য ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর পর জিম্বাবুয়ে সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। পূর্ণাঙ্গ এ সফরে একটি টেস্ট এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলা শেষ করেছে টাইগাররা। টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ দাপটের সঙ্গে জিতে নিয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। এবার পালা টি-টোয়েন্টি মিশনের।
আগের সূচি পরিবর্তন করে এগিয়ে আনা হয়েছে ম্যাচ। আগের সূচি অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ২৩, ২৫ ও ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নতুন সূচি অনুযায়ী ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ২২, ২৩ ও ২৫ জুলাই।
এদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পূর্ণ শক্তির দল পাচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ। হাঁটুর চোটের কারণে ওয়ানডে সিরিজ খেলে হারারে থেকে ঢাকায় ফিরে আসছেন তামিম ইকবাল। এছাড়া পারিবারিক কারণে আগেই ফিরে এসেছেন মুশফিকুর রহিম।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরিসংখ্যান বলছে, সবশেষ ১০ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মোটে তিনটি। তবে টি-২০ র্যাংকিং বলছে, ক্রিকেটের সীমিত ফরম্যাটে পার্থক্য নেই খুব একটা। আইসিসি র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ নম্বরে। জিম্বাবুয়ের অবস্থান ঠিক এরপরেই। মুখোমুখি ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে দু'দল। তবে জয়ের পাল্লা ভারী টাইগারদের। ৯ ম্যাচে জয় আছে মাহমুদউল্লাহ-সাকিবদের। আর হেরেছে ৪টি ম্যাচে।
বাংলাদেশ একাদশ:
নাঈম শেখ, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, কাজী নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন