আগামী জুলাইয়ে বয়সের কাঁটা ছুঁয়ে ফেলবে চল্লিশের ঘর। আনুষ্ঠানিকভাবে চল্লিশোর্ধ্ব ক্রিকেটারের তালিকায় ঢুকে যাবেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবু এতদিন নিজেকে ঠিক বয়স্ক ক্রিকেটার ভাবেননি তিনি।
তবে এবার চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ২০০তম ম্যাচ খেলতে নেমে নিজেকে সত্যিই বুড়ো মনে হচ্ছে ধোনির। শুক্রবার রাতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল চেন্নাইয়ের হয়ে ধোনির ২০০তম ম্যাচ। যেখানে পাঞ্জাবকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে আসরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে চেন্নাই।
আইপিএলের প্রথম আসর থেকে এ নিয়ে চেন্নাইয়ের হয়ে ১২তম আসরে খেলছেন ধোনি। মাঝে দুই আসর নিষিদ্ধ ছিল দলটি। তখন রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে দুই মৌসুমে খেলেছেন ত্রিশ ম্যাচ। এছাড়া চেন্নাইয়ের হয়ে আইপিএলে ১৭৬ ও চ্যাম্পিয়নস লিগে ২৪টি ম্যাচ খেলে ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ধোনি।
চেন্নাইয়ের হয়ে এই ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ধোনি বলেছেন, ‘এখন নিজেকে অনেক বুড়ো মনে হচ্ছে (হাসি)। এ যাত্রাটা অনেক লম্বা ছিল। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশন, ভিন্ন ভিন্ন দেশ এবং হরেক অভিজ্ঞতার একটি যাত্রা। ২০০৮ সালে শুরু, এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা, দুবাই এবং ঘরের মাঠে খেলা।’
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে চেন্নাইয়ের হয়েই খেলে আসছেন ধোনি। দলটিকে তিনবার চ্যাম্পিয়নও করিয়েছেন তিনি। আইপিএলে নিজেদের আগের এগার আসরে মাত্র একবার সেরা চারে উঠতে পারেনি চেন্নাই। বাকি দশবারই তারা ছিল শীর্ষ চারের মধ্যে।
এ সাফল্যের বড় কৃতিত্ব অধিনায়ক ধোনিরও। কিন্তু ধোনিই চেন্নাইয়ের হয়ে নিজের ২০০তম ম্যাচটি ঘরের মাঠে চিপক স্টেডিয়ামে খেলতে পারেননি। আইপিএলের এবারের আসরের সূচি মোতাবেক, কোনো দলই নিজেদের ঘরের মাঠে কোনো ম্যাচ পাবে না।
তাই ধোনিকে নিজের ২০০তম ম্যাচটি খেলতে হয়েছে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। তবে এখানেও চেন্নাইয়ের মতো কন্ডিশন ও উইকেট পেয়েছেন ধোনি, যা তিনি কখনও ভাবেননি। পাশাপাশি চেন্নাইয়ের উইকেট নিয়ে একটি আক্ষেপের কথাও জানালেন ধোনি।
তার ভাষ্য, ‘কখনও ভাবিনি যে মুম্বাই আমাদের হোমগ্রাউন্ড হবে। ২০১১ সালে শেষবার চেন্নাইয়ের উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পেরেছিলাম। এর আগেও সেখানে স্পিন ধরতো, তবে পাশাপাশি ফাস্ট বোলারদেরও অনেক সাহায্য করতো। পরে নতুন করে উইকেট বানানোর পর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া খুব কঠিন ছিল আমাদের জন্য।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন