রংপুরে ফোর–জি ইন্টারনেট গতিতে ‘ফেল’ তিন অপারেটর
রংপুরে দেশের চারটি মুঠোফোন অপারেটরের তিনটির চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর–জি) নির্ধারিত গতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছায়নি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সম্প্রতি এক পরীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও টেলিটকে ফোর–জি সেবার নির্ধারিত ন্যূনতম ডাউনলোড গতি আসেনি বিটিআরসির পরীক্ষায়। গতকাল মঙ্গলবার বিটিআরসির ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
বিটিআরসির নীতিমালা অনুসারে, ফোর–জি সেবায় ডাউনলোড গতি হতে হবে প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ৭ মেগাবিট।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ডাউনলোড গতি সেকেন্ডে ৫ দশমিক শূন্য ৬ মেগাবিট ও বাংলালিংকের ৬ দশমিক ৮২ মেগাবিট। শুধু রবি ডাউনলোডের নির্ধারিত গতি নিশ্চিত করেছে—সেকেন্ডে ৮ দশমিক ৩৬ মেগাবিট।
অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের অবস্থা সবচেয়ে দুর্বল। ফোর-জিতে ২ দশমিক ৪৮ মেগাবিট গতি দিতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। থ্রি–জি সেবাও নিশ্চিত করতে পারেনি টেলিটক। বিটিআরসি নির্ধারিত থ্রি–জির ডাউনলোড গতি সেকেন্ডে ২ মেগাবিটের মধ্যে টেলিটকের পাওয়া গেছে সেকেন্ডে ১ দশমিক ১৮ মেগাবিট।
থ্রি–জির ক্ষেত্রে বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গ্রামীণফোনের সেকেন্ডে ১ দশমিক ১৭, রবির ৩ দশমিক ৩০ ও বাংলালিংকের ২ দশমিক ৮৮ মেগাবিট গতি পেয়েছে বিটিআরসি।
মুঠোফোন অপারেটরদের সেবার মান পরীক্ষায় গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর বিভাগের ২৮টি উপজেলায় এ পরীক্ষা চালায় বিটিআরসি।
দেশে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক আনুষ্ঠানিকভাবে চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বা ফোর–জি সেবা চালু করে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। পরে এ সেবা চালু করে টেলিটকও।
গত নভেম্বরে প্রকাশিত বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৯২ লাখ। তাদের মধ্যে ফোর–জি গ্রাহক ৬ কোটি ৯১ লাখ, থ্রি–জি গ্রাহক ৩ কোটি ৬২ লাখ।
এর মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক গত ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ছয়টি স্থানে ফাইভ–জি পরিষেবা চালু করে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, বাংলাদেশ সচিবালয়, সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২ ও ঢাকার শেরেবাংলা নগরে চালু হয় সেবাটি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন