পর্দায় অভিনয় গুণে বহুবার প্রশংসিত হয়েছেন, অর্জন করেছেন দর্শকের ভালোবাসা। সেদিক থেকে অভিনয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থী হিসেবে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন অভিনেত্রী সাবিলা নূর। সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি)-এর ২০২১-২২ সমাবর্তনে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে ‘ড. আনোয়ারুল আবেদিন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে ইংরেজি সাহিত্যে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৩.৯৭ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এ অভিনেত্রী। তার এই সাফল্যে সবাই যেমন তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তেমনই কিছু কুৎসাকারী নানারকম নিন্দা ছড়াচ্ছেন, ট্রল করছেন।
অভিনয় করে কীভাবে ৩.৯৭ পাওয়া সম্ভব, যাকে কিনা নর্থ সাউথ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে- এমন অভিযোগের সরাসরি জবাব দিয়েছেন সাবিলা নূর। সেই সঙ্গে ফলাফলের গ্রেডশিটও নিজের ফেসবুক পেইজে প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছে, সেটা ভুল : সাবিলা নূর
সাবিলা বলেন, যারা বলছেন আমাকে এনএসইউ এবং ব্র্যাক থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তাদের জন্য এই পোস্ট। আমার এআইইউবি এবং ব্র্যাক দুটোর গ্রেডশিট আমি পোস্টে দিয়েছি, আশা করি এই প্রশ্নের জবাব আপনারা পেয়ে যাবেন।
অমনোযোগী হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিবিএ দুটোই পরিবর্তন করেছেন জানিয়ে সাবিলা নূর বলেন, এনএসইউতে আমার গ্রেড ভালো ছিল না, কিন্তু আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, সেটা ভুল। তখন আমি মাত্রই নাটকে কাজ শুরু করি এবং পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া এমন একটা ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছিলাম যেখানে আমার পড়ার আগ্রহ ছিল না। পরিবারের চাপে ভর্তি হয়েছিলাম। আমি কিছু সময়ের জন্য আমেরিকা চলে যাই এবং ফিরে এসে আমার মেজর এবং ইউনিভার্সিটি দুটোই পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিই।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বিষয়ে সাবিলা বলেন, ব্র্যাকে আমি তিন সেমিস্টার ছিলাম এবং বহুল আকাঙ্ক্ষিত ভিসি তালিকাভুক্ত ছাত্রীও ছিলাম। কিন্তু যখন আমাকে বলা হলো টার্কে (সাভারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস) যেতেই হবে, আমি পুরোপুরি ভেঙে পড়ি। শুধু মিডিয়ার কাজের জন্য নয়, আমি তখন ডিপ্রেশনে ভুগছিলাম এবং আমি জানতাম পরিবার ছাড়া তিন মাস থাকা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না। তারপরই আমি এআইইউবিতে ক্রেডিট ট্রান্সফার করি এবং আমার জন্য সেটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।
সমালোচনাকে উপেক্ষা করেই নিজের সাফল্যকে উদযাপন করবেন সাবিলা নূর। সাফ জানিয়ে দিলেন, যেটা ছিল আমার পরম আরাধ্য কিছুর উদযাপন, আপনাদের ট্রল-মিম এবং ভয়ানক মিথ্যা কিছু অভিযোগে সেটা হয়ে যাচ্ছে দুঃস্বপ্নের মতো। ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের পেছনে যে একজন সত্যিকারের রক্তমাংসের মানুষ আছে সেটা ভুলে যাননি তো? এআইইউবির অথরিটিকে পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে! কী ভয়াবহ।
মানুষের সহনশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাবিলা নূর বলেন, মানুষ কি নতুন করে শুরু করে সফল হতে পারে না? বদলাতে পারে না? নিজের লক্ষ্য অর্জনে নিজের সবটা দিয়ে উঠেপড়ে লেগে পড়তে পারে না? আমরা কি এতটাই অসহনশীল হয়ে পড়েছি যে কোনো রকম কারণ ছাড়াই একজনের ভীষণ পরিশ্রমের একটা ভালো খবরকে দুঃস্বপ্ন বানিয়ে দিতে একটুও দ্বিধা করছি না?
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন