র্যাবের হাতে আটক হওয়া চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নিয়ে চিত্রজগত থেকে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেছেন, যে যা করবেন তাকে সেই পরিণতি ভোগ করতেই হবে। শিল্পী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, তারা সাংগাঠনিকভাবে আলোচনার পরই এই নিয়ে কথা বলবেন। তবে পরীমনি পরিচয়ে একজন চিত্রনায়িকা হলেও তিনি নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন বলে ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে।
আটক হওয়ার পর র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে নানা গোপন তথ্য বেরিয়ে আসছে পরীমণির কাছ থেকে। তিনি যে চেইন স্মোকার ছিলেন সেটা চিত্রজগতে তেমন একটা চাউর ছিল না। র্যাব অভিযানের সময় তার ফ্ল্যাটে বিদেশি সিগারেট ও মদের বিশাল সংগ্রহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ান ভদকা, জিন, টাকিলা, হুইস্কি ও বহু মূল্যবান রেড ওয়াইন। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের কৌতুহল নিরসনমূলক কিছু তথ্যও জানা গেছে। পরীর হাতে ছবি নেই অথচ তিনি দামি গাড়ি, বিলাস বহুল বাড়িতে কিভাবে বাস করেন। কিভাবে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করে পাঁচ তারকা হোটেলে জন্মদিন পালন করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পরীর ঘনিষ্ঠদের তালিকায় আছেন- পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদসহ অনেক প্রভাবশালীর নাম। এদের কেউ কেউ দেশের বাইরে পরীর সঙ্গে ঘুরতে যান। একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তাকে হ্যারিয়ার গাড়ি উপহার দেন। চেয়ারম্যানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া পরীর বেশ কয়েকটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। জানা গেছে, পরীমণিকে গ্ল্যামার জগতে নিয়ে আসেন রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার কথিত নাট্য প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ। সিনেমায় নাম লেখানোর আগে দীর্ঘদিন তার কাছেই থাকতেন পরী।
র্যাব গণমাধ্যমকে বলেছে, পরীমণি ছাড়াও ঢাকার শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িত। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, পরীমণি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব। তারা হলেন- চিত্রনায়িকা আঁচল, শিরিন শিলা, মডেল অহনা, মৃদুলা, পার্শা, মৌরি, শুভা, মানসি ও কথিত মডেল নায়লা নাঈম। এছাড়া বেশ কয়েকজন চিত্রনায়ক মাদক এবং অবৈধ পর্নোগ্রাফি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন