দুপুর পৌনে ১২টা। বনানীর ১৯/এ নম্বর রোডের ১২ নম্বর ‘বনানী লেকভিউ’র বাসার সামনে পুলিশের গাড়ি। সামনে তিন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এর কিছুটা দূরে গণমাধ্যমের গাড়ি এবং সাংবাদিকদের অপেক্ষা। বাড়ির গেটের সামনে দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি জানান, ভেতরে প্রবেশের সুযোগ নেই। এ সময় দায়িত্বরত বনানী থানার এক পুলিশ সদস্য জানান,চিত্রনায়িকার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে থানা থেকে তাদের পাঠানো হয়েছে। তার নিরাপত্তার স্বার্থে ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বনানী লেকভিউ’র ওই ভবনের ষষ্ঠ তলার বাসায় থাকেন চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার ওরফে পরীমনি।
ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ঢালিউডের এই নায়িকা। এমনটিই জানিয়েছেন পরীমনির পারিবারিক সূত্র। সূত্র জানায়, পরীর বনানীর বাসায় বর্তমানে তার মামা, এক আত্মীয়, তার ব্যক্তিগত সহকারী সহ চার থেকে পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। গত ৯ই জুন রাতে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পরী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, স্বভাবগতভাবে পরীমনি সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল থাকতে পছন্দ করেন। এমনকি তার পরিচিতজনদের সর্বদা মাতিয়ে রাখেন। তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার পর থেকে চিত্র জগতের সিনিয়রদের থেকে শুরু করে প্রশাসনিক পরিচিত মহলের অনেকের কাছেই গিয়েছিলেন তিনি। এতদিন ধরে যাদেরকে খুব কাছের মানুষ বলে জানতেন তারাও এই ঘটনার পরে পরীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। সব মিলিয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। অন্যান্য সময় জিম করা, নিজের পোষা প্রাণীদেরকে সময় দেয়া থেকে শুরু করে আড্ডা-গল্পে সময় কাটতো পরীর। কিন্তু এখন ঠিকভাবে কারও সঙ্গে কথাই বলছেন না। ইতিমধ্যে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিচিত একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন পরী।
গত রোববার রাত থেকে তার শরীর অনেক খারাপ যাচ্ছে। ঠিকভাবে ঘুমাতে পারছেন না। তাছাড়া বুকে সামান্য ব্যথা রয়েছে। এ ছাড়া তার অক্সিজেন স্বল্পতারও সমস্যা রয়েছে।
বর্তমানে খুব ঘনিষ্ঠজনদের দু’-একজন বাদ দিয়ে অন্য কারোর ফোনও রিসিভ করছেন না তিনি। এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিকে গ্রেপ্তারের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নায়িকা পরীমনির আত্মীয়। তিনি বলেন, এটা নিঃস্বন্দেহে ভালো খবর। এখন আমরা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং সঠিক বিচার দাবি করছি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, পরীকে অনেক কাছ থেকে দীর্ঘদিন দেখে এসেছি। অনেক ভালো মন্দ সময়ের সাক্ষী আমরা। সে দমে যাওয়ার মতো মেয়ে নয়। লড়াইটা কিন্তু পরী চালিয়েই যাবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন