ফরিদপুরে ৫ টাকা দিয়ে চিপস কিনলে উপহার হিসেবে মিলছে একশ থেকে শুরু করে হাজার টাকার নোট। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন না থাকলেও দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এ চিপস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ৫ টাকা দিয়ে বেনামে কোম্পানির চিপস কিনলেই উপহার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে একশ থেকে হাজার টাকার নোট। তবে নোটগুলো দেখতে অবিকল দেশীয় টাকার মতো দেখলেও ওপরে ছোট অক্ষরে লেখা রয়েছে খেলনা টাকা।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলা সদর, দিগনগর গোপালপুর, বেড়িরহাট, জয়দেবপুর, বানা বজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিপস বিক্রেতারা ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন চিপস দোকানিদের কাছে বিক্রি করছেন। সেই চিপসের বান্ডিলের সঙ্গে একশত টাকা থেকে হাজার টাকার নোটও রয়েছে। দোকান থেকে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ওই বেনামে কোম্পানির চিপসগুলো কিনছে। এ সময় তাদের হাতে একশ থেকে হাজার টাকার নোটও দেখা যায়।
এ বিষয়ে এক চিপস বিক্রেতা বাকাইল গ্রামের তৌয়েব আলী জানান, বোয়ালমারী উপজেলার একটি দোকান থেকে তারা চিপস ও নকল টাকার উপহারগুলো কিনেছেন। তবে কোম্পানির ঠিকানা তার জানা নেই।
বোয়ালমারীর সুমন খান, মিজানুর রহমান, ডেবিট খান ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার শাহরিয়ার হোসেন, এনায়েত হোসেন, আলমগীর কবির, আবুল হোসেনসহ একাধিক অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই টাকার লোভে শিশুরা বার বার চিপসগুলো কিনছে। তবে টাকাগুলো হুবহু হলেও টাকার ডান পাশে ছোট অক্ষরে খেলনা টাকা লেখা রয়েছে যেটা সহজে চেনার উপায় নেই।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি সাংবাদিক কবির হোসেন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শিশুদের ক্ষতিসহ সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হতে পারেন। আর এটা একধরনের অপরাধও বটে।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ এলাহী বলেন, অনুমোদনহীন চিপস ও সঙ্গে টাকার উপহারের বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন