করোনা ঠেকাতে শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হচ্ছে কঠোরতম বিধিনিষেধ। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। আগামী রবিবার থেকে ব্যাংকগুলো তাদের শাখা খোলা রাখবে। এই সময়ে ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলবে। গত ১৩ জুলাই এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত বিধিনিষেধ চলাকালে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই সময়ে মাস্ক পরিধানসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করে সীমিত সংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জরুরি বিভাগসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে ব্যাংকগুলো। শাখা খোলা রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে, নিজ বিবেচনায় খোলা রাখা যাবে।
বিধিনিষেধ চলাকালে হিসাবে নগদ/চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট/পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ-এসব সেবার পাশাপাশি বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির ভাতা/অনুদান বিতরণ ইত্যাদি সেবা মিলবে। এ ছাড়া একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা-সংবলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং এসব সুবিধা-বহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকেরা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস/ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা ও জরুরি বৈদেশিক লেনদেন-সংক্রান্ত সেবা পাবেন গ্রাহকেরা।
এই সময়ে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখার নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক সেবা চালু রাখতে হবে।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
আমি বুঝতে পারছি না যে যেখানে একদিকে কঠোর লকডাউন আবার একই সময়ে ব্যাংক খোলা থাকবে। লকডাউনের মাঝে ব্যাংক কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের উপস্থিত হতে হবে, গ্রাহকদেরকেউ ব্যাংকে আসতে হবে লেনদেন করার জন্য। তাদের যাতায়াতের জন্য আবার যানবাহন চলাচল সুবিধা থাকতে হবে। এইরকম সংঘার্ষিক নীতি গ্রহণ করাটা যে কতটা আত্মঘাতী, নীতিনির্ধারকরা সেটা কি কখনোই বুঝতে পারবে না? ব্যবসায়ীদের আকাশছোঁয়া স্বার্থ নাকি মানুষের জীবন, কোনটার বেশি প্রাধান্য? একটি জীবনকে মৃত্যু ঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়া যে হত্যা প্রচেষ্টার শামিল সেটা আমরা কেন বুঝতে চাইছি না?
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন