ভারতের নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) বিতর্কিত কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুসের তদন্ত শুরু হলেও আরিয়ান খানের মামলা থেকে সরানো হচ্ছে না।
এনসিবি কর্মকর্তা জ্ঞানেশ্বর সিংহ জানিয়েছেন, যদি ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কোনো রকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না পাওয়া যায়, তা হলে তাকেই শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের মাদককাণ্ডের তদন্তে বহাল রাখা হবে।
বুধবার সকালে জ্ঞানেশ্বরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল মুম্বাইয়ে এসে পৌঁছায়।
আরিয়ানের মামলা কেন্দ্র করে সমীরের বিরুদ্ধে ঘুসের অভিযোগ উঠতেই তোলপাড় শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে জোর জল্পনা চলতে থাকে— তা হলে কি এবার এই হাইপ্রোফাইল মামলা থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
যদিও সেই জল্পনায় পানি ঢেলে এনসিবি সমীরকেই তদন্তে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তও চলবে।
একদিকে ঘুসের অভিযোগে যখন জর্জরিত হচ্ছেন সমীর ওয়াংখেড়ে, অন্যদিকে তখন তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের তীর ছুড়ে চলেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এনসিপি দলের নেতা নবাব মালিক।
প্রথমে সমীরের জন্ম সনদ নিয়ে অভিযোগ তোলেন। তার পর জাতীয় পরিচয়পত্র, বিয়ে— একের পর তথ্য তুলে ধরে তাকে বিদ্ধ করেছেন। পাল্টা জবাব দিয়েছেন এনসিবি কর্মকর্তাও।
এনসিবি কর্মকর্তা জ্ঞানেশ্বর সিংহ জানিয়েছেন, সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে সব নথি জমা করেছেন ওয়াংখেড়ে। যদি প্রয়োজন পড়ে তাকে পরবর্তীকালে জেরা করা হতে পারে।
মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সইল নিজেকে কিরণ গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে পরিচয় দিয়ে হলফনামায় দাবি করেছেন, আরিয়ান মামলায় শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকার দাবি জানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন গোসাভি।
কিন্তু তা ১৮ কোটি টাকায় রফা হয়। সেই ১৮ কোটির মধ্যে ৮ কোটি টাকা ওয়াংখেড়ের জন্য রাখা হয়েছিল।
ঘুসের অভিযোগে বিদ্ধ ওয়াংখেড়ে নিজেকে বাঁচাতে আইনের শরণাপন্ন হন। তার আগে মুম্বাই পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আদালতেও যান তিনি।
যদিও এনসিবি ওয়াংখেড়ের পাশে দাঁড়িয়েই পাল্টা দাবি করেছে, তাদের এই কর্মকর্তার চাকরিজীবনে কোনো খারাপ রেকর্ড নেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন