উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে হাতে পেতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন আইনজীবীরা যুক্তরাজ্যের আদালতকে বলেছেন, তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে প্রত্যর্পণ করা উচিত। অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাজ্যের বেলমার্শ কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আইনজীবীদের দাবি, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতার মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সেটি সঠিক নয়। তাকে এমন অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্রে বিচারের মুখোমুখি হতে বাধা দেওয়া যায় না।
২০১০ সালে উইকিলিকস হাজার হাজার গোপনীয় শ্রেণিবদ্ধ ফাইল এবং কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশ করার পরে গোটা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
বুধবার মার্কিন সরকারের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত আইনজীবী জেমস লুইস লন্ডনের আপিল আদালতকে বলেন, নিম্ন আদালতের একজন বিচারক এই রায় দিয়ে ভুল করেছেন যে, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে পাঠালে সেখানে তার আত্মহত্যা করার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। বিচারকের উদ্বেগের বিষয়ে ব্রিটেনকে ‘আশ্বাসের একটি প্যাকেজ’ প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অ্যাসাঞ্জকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেবে।
শুনানির সময় অ্যাসাঞ্জের সমর্থকরা সকাল থেকে আদালত ভবনের বাইরে জড়ো হয়েছিল। তার বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা অ্যাসাঞ্জের মুক্তি দাবি করে শ্লোগান দেন। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ধর্ষণের, যেটি করা হয়েছিল সুইডেনে। তবে তিনি কোনো অন্যায় করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সুইডেন যৌন অপরাধের অভিযোগে ব্রিটেনের কাছে অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণ চেয়েছিল। সমর্থকরা অ্যাসাঞ্জকে মুক্তচিন্তার নায়ক হিসেবে দেখেন। তবে মার্কিন প্রসিকিউটর এবং পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে রাষ্ট্রের একজন ‘বেপরোয়া শত্রু’ হিসেবে বিবেচনা করেন।
ইত্তেফাক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন