আফগানিস্তানের নতুন শাসক গোষ্ঠী তালেবান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সতর্ক করে বলেছে, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তাদের চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করা হলে আফগানিস্তানে নিরপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হবে, একই সঙ্গে অর্থনৈতিক শরণার্থীর ঢল নামবে।
কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের পররাষ্ট্রন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি পশ্চিমা কুটনীতিকদের বলেন, আফগানিস্তানের সরকারকে দুর্বল করে কেউ লাভবান হবে না, বরং এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলবে।
গত আগস্ট মাসে তালেবান যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর দুই সপ্তাহ পর তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব তালেবানের প্রতি আফগানিস্তানের সব পক্ষকে নিয়ে সরকার গঠনসহ নারী অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু তালেবান শুধুমাত্র তাদের লোকজন নিয়ে সরকার গঠন করেছে এবং নারী শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি দিতে বিলম্ব করছে। এ অজুহাত তুলে পশ্চিমা বিশ্ব আফগানিস্তানে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে তালেবানের মুখপাত্র বলেন, দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তারা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে স্বাভাবিক গতিতে ব্যাংক চলতে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা দিতে একমত হয়েছে। তবে আফগানিস্তানে থাকা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তারা এই সহযোগিতা প্রদান করবেন, তালেবানের মাধ্যমে নয়। তালেবান মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখালেই কেবল তারা তালেবানের সঙ্গে যুক্ত হবেন এবং তাদেরকে স্বীকৃতি দেবেন।
আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে বিশ্বের ২০টি প্রধান অর্থনীতির জোট জি–২০। এ সহায়তা নিয়ে যদি তালেবানের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হয়, সেটাও করবে এই জোট। মঙ্গলবার জোটের ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন থেকে এ সিদ্ধান্ত এসেছে। ওই সম্মেলনে জোট নেতাদের মধ্যে আলোচনার পর ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি এসব জানান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন