পঞ্জশিরে তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অস্ত্র ও অর্থ চায় প্রতিরোধযোদ্ধারা।
এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ওয়াশিংটনের একজন লবিস্ট নিয়োগ করেছে আহমেদ মাসুদ নেতৃত্বাধীন পঞ্জশিরের জাতীয় প্রতিরোধ বাহিনী (এনআরএফ)। ডেইলি মেইল।
ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন লবিস্ট রবার্ট স্ট্রিক। এরই মধ্যে নতুন শাসকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ওয়াশিংটনের কাছে অস্ত্র ও আর্থিক সহযোগিতা চাইছেন তিনি।
এনআরএফর স্থানীয় প্রতিনিধি ও আহমেদ মাসুদের মুখপাত্র আলি নাজারি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘আমার মহামান্য নেতার (মাসুদ) সমর্থন ছাড়া কোনো সত্তা বৈধতা পেতে পারে না।
কারণ, তিনিই (মাসুদ) বৈধতার একমাত্র উৎস।’ সাম্প্রতিক ওই সাক্ষাৎকারে নাজারি ডেইলিমেইল বলেন, ‘তালেবান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের অস্ত্র ও অর্থ প্রয়োজন।
এ লড়াই শুধু তালেবানের বিরুদ্ধে নয়, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে- যা নব্বই দশকের শেষার্ধ থেকে শুরু হয়েছিল। এ জন্য আমরা ওয়াশিংটনের জোরালো সমর্থন চাই।’
তিনি জানান, পঞ্জশিরের হাজার হাজার মানুষকে বাঁচাতে, মানবতাকে সমর্থন করতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘের মতো শক্তির সমর্থন প্রয়োজন।
বসে নেই তালেবানও। একই সময়ে তারাও চাইছে ওয়াশিংটনে তাদের একজন লবিস্ট থাকুক। প্রতিনিধিত্ব চাইছে। পাশাপাশি আফগানিস্তানে সাহায্য বন্ধ না করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদনও জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার, তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি দাতার অর্থ বুদ্ধির সঙ্গে ব্যয় করবে এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যবহার করবে।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা একটা বড় দেশ। তাদের হৃদয়ও বড় হওয়া উচিত।’ অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তালেবান এবং প্রতিরোধযোদ্ধারা- উপভয়পক্ষেরই এখন লক্ষ্য হচ্ছে ওয়াশিংটনের আনুকূল্য পাওয়া।
আহমাদ শাহ মাসুদের পুত্র মাসুদ (৩২) প্রতিরোধযোদ্ধাদের নেতা। পঞ্জশির উপত্যকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তিনি।
এরই মধ্যে কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে তালেবানের আগ্রাসনে টিকতে না পেরে তুরস্ক বা মধ্য এশিয়ার কোনো দেশে পালিয়ে থাকতে পারেন।
জাতীয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে এ তথ্য অস্বীকার করা হয়েছে। তবে, আরেকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে মাসুদ আফগানিস্তানেই আছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন