ভারতের আসামের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল গত বুধবার। সেখানে জুবিলি নামের এক শিক্ষার্থী শর্টস পরে পরীক্ষা দিতে গেলে পরীক্ষক তাকে বাঁধা দেন। শেষমেশ একটি পর্দা দিয়ে পা ঢেকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় তাকে। এ ঘটনা সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে জুবিলি বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু পরীক্ষা যে ঘরে পড়েছিল সেই ঘরে ঢুকতে যেতেই পরীক্ষকের বাধার মুখে পড়তে হয়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘শর্টস পরে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না’।
ওই সময় জুবিলির পরণে ছিল একটি টি শার্ট এবং হাফ প্যান্ট। তা দেখেই বেঁকে বসেন পরীক্ষক। জুবিলির অভিযোগ, অ্যাডমিট কার্ডের কোথাও ড্রেসকোড নিয়ে কিছু বলা নেই। কিন্তু তার পরেও ওই পরীক্ষক কীভাবে এমনটা করতে পারলেন? জুবিলি বলেন, ‘কয়েক দিন আগেই নিট পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তেজপুরেই। একই পোশাক পরে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কেউ প্রতিবাদ করেননি।’
জুবিলির অভিযোগ, পরীক্ষক তাকে পরীক্ষায় বসতে না দিলে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই শেষমেশ পরীক্ষার কন্ট্রোলার জুবিলিকে শর্তসাপেক্ষে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেন। তাকে বলা হয় পরীক্ষায় বসতে হলে পা ঢাকা প্যান্ট পরে বসতে হবে।
জুবিলি বলেন, বাবার সঙ্গেই পরীক্ষা দিতে যাই সেখানে। ওই কথা শুনে বাবা তখনই পোশাকের দোকানে ছুটে যান। ৮ কিলোমিটার দূরে থাকা এক পরিচিতের দোকানে যান। তিনি ফিরে আসতেই তাকে বলা হয় সমস্যা মিটে গিয়েছে। শেষমেশ আমাকে পর্দা দেওয়া হয় পা ঢেকে বসার জন্য।
জুবিলির প্রশ্ন, করোনা বিধি মেনে মাস্ক পরা হচ্ছে কি না সেটা দেখা হল না। শরীরের উত্তাপ মাপা হল না, অথচ কে কী পোশাক পরে আসছে তা নিয়ে মাথাব্যথা তাদের।
বর্তমানে এর পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কেউ বলছেন, নারীদের পোশাক নিয়ে কেনো এতো প্রশ্ন থাকবে, অন্যদিকে উঠছে শালীনতার কথা। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন