যুক্তরাষ্ট্রে বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি আইবিএম ১৭০টি দেশে ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছে কোভিড ভাইরাসের পাশাপাশি আমরা তথ্য চুরি বা সাইবার অপরাধের মহামারির মধ্যে অবস্থান করছি। যুক্তরাষ্ট্রে এধরনের তথ্য চুরি সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি তথ্য চুরির দায়ে ভুক্তভোগী কোম্পানিকে ৯ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেশি ক্ষতি গুণতে হচ্ছে। ফক্স নিউজ
আইবিএম বলছে তথ্য চুরির ঘটনায় কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ৪.২৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে এ ধরণের ব্যয় ৬.৯ মিলিয়ন ও কানাডায় ৫.৪ মিলিয়ন ডলার।
‘কস্ট অফ এ ডাটা ব্রেচ’ নামে আইবিএম’র বার্ষিক এ প্রতিবেদন সম্পর্কে কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার ক্রিস ম্যাককার্ডি বলেন এধরনের তথ্য চুরির ফলে প্রযুক্তি পরিবর্তন ও অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে তথ্যচুরিজনিত আর্থিক ক্ষতি রেকর্ড পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় আধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তি ব্যবস্থা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশনের মত আধুনিক সুরক্ষা কৌশল গ্রহণে উদ্যোক্তরা বাধ্য হচ্ছেন।
আইবিএম বলছে কয়েকশ কোম্পানি এখন তথ্য চুরির ঝুঁকিতে রয়েছে। হ্যাকাররা রীতিমত মিলিয়ন ডলারের মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়াছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত মে মাসে এধরনের তথ্য চুরির ঘটনায় শুধু মুক্তিপণ দিতে হয়নি দেশটির পূর্ব উপকূলে অস্থায়ী গ্যাস সংকট দেখা দেয়।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন