চীনা কর্তৃপক্ষ পশ্চিম সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডু থেকে ২০১৯ সালে জুন মাসে লবসাং লুন্ডুপ নামের একজন তিব্বতী পণ্ডিতকে গ্রেফতার করা হয়। কোনো অভিযোগ ছাড়া তাকে আটক করলেও দুই বছর ধরে তার পরিবারের সদস্যদের বিচার সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি।
লুন্ডুপের একটি স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। আরএফএ জানায়, ২০০৮ সালে চীনের তিব্বত ও তিব্বতী এলাকায় বিক্ষোভের পর চীনা কর্তৃপক্ষ প্রায়শই তিব্বতী জাতীয় পরিচয় ও সংস্কৃতি প্রচারকারী লেখক, গায়ক ও শিল্পীদের আটক করছে।
এদিকে, রেডিও ফ্রি এশিয়া (আরএফএ) একটি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, 'লুন্ডুপকে ২০১৯ সালের একটি বেসরকারি সাংস্কৃতিক শিক্ষা কেন্দ্রে কাজ করার সময় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। কেউ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মালিককে তার ব্যবহার করা শিক্ষা উপকরণ সম্পর্কে বলেছিল এবং তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'লুন্ডুপ একজন বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং অনেক মানুষের কাছে পরিচিত এবং তার বন্ধুরা এখন পর্যন্ত তার সম্পর্কে কথা বলছে না এই আশায় যে তাকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে। লুন্ডুপের বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। তার সম্পর্কে আর কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি এবং কাউকে তার সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।'
সূত্র আরএফএ-কে জানায়, ১৯৮০ সালে জন্মগ্রহণকারী লুন্ডপ সিচুয়ানের গোলগ তিব্বতী স্বায়ত্তশাসিত প্রিফেকচারের পেমা জেলার বাসিন্দা। তিনি ১১ বছর বয়সে সন্ন্যাসী হন এবং সিচুয়ানের লারুং গার তিব্বতী বৌদ্ধ একাডেমিতে অধ্যয়ন করেন, যেখান থেকে হাজার হাজার আবাসিক সন্ন্যাসী এবং সন্ন্যাসিনীদের পরে চীনা কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করে।
উল্লেখ্য, লুন্ডুপ তিব্বতে ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করেন এবং ২০০৮ সালে তিব্বতী অঞ্চলে বেইজিংয়ের নীতি ও শাসনের বিরুদ্ধে অঞ্চলব্যাপী বিক্ষোভ সম্পর্কে বই লেখা এবং প্রকাশ করেন। ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর চীনা কর্তৃপক্ষ তার পরিবারকে তার মামলা নিয়ে আলোচনার জন্য তলব করে। কিন্তু তারা জানতে পারে যে তার বিচার এখনও বিচারাধীন এবং তাদের তার সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন