কলকাতা প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি। ফাইল ছবি
পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাজ্যের গভর্নর বা গভর্নর জগদীপ ধনখড়। কিন্তু তার অনুমতি ছাড়াই কলকাতার প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর পদে অনুরাধা লোহিয়ার মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মমতার নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকার যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করে দেয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হয়ে থাকার কোনও অর্থই হয় না গভর্নরের। সেক্ষেত্রে গভর্নর কোণঠাসা হয়ে পড়বেন।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে রাজভবন–নবান্ন সংঘাত দেখা গিয়েছিল। তখন থেকেই ঠিক হয় গভর্নর জগদীপ ধনখড়কে একঘরে করে দেওয়া হবে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারের অভিযোগ, গভর্নর হিসেবে তিনি সাংবিধানিক রীতি–নীতি মানছেন না।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র রাজপালের নরম জায়গায় আঘাত করেন। তাতে একবার টুইট করলেও বেশি বেড়ে খেলেননি। এই পরিস্থিতিতে এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজভবন–নবান্ন সংঘাতের ইঙ্গিত মিলেছে। কারণ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কলকাতার প্রেসিডেন্সির ভাইস চ্যান্সেলর অনুরাধা লোহিয়ার মেয়াদ ১০ জুন শেষ হয়েছে। আর রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, গত ৩ জুন মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন চ্যান্সেলরের কাছে করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাতে কোনও অনুমোদন আসেনি। তাই এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্সির মতো বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর বা ভিসি ছাড়া রাখা সম্ভব নয়। তাই উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে আরও দু’বছরের জন্য অনুরাধা লোহিয়ার মেয়াদ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উচ্চশিক্ষা দফতরের কর্মকর্তাদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত বিধিতে একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। তাই সবক্ষেত্রে চ্যান্সেলরের অনুমতি বাধ্যতামূলক নয়। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা দফতর যে কোনও জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শুক্রবার থেকে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে তাই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন