পৃথিবীর ৭১ শতাংশ পানি আর মহাসাগরের সংখ্যা চার। ভূগোলে যাঁরা পারদর্শী নন, এ কথা মোটামুটি তাঁদেরও জানা। কিন্তু এই সংখ্যাটাই এবার একটু ‘হালনাগাদ’ করতে হবে। এই গ্রহে মহাসাগরের সংখ্যা আর চার নয়। এবার থেকে পাঁচ। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি দক্ষিণ মহাসাগরকে এই পৃথিবীর পঞ্চম মহাসাগর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দক্ষিণ মহাসাগরকে অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরও বলা হয়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি ১৯১৫ সাল থেকে মানচিত্র তৈরি করছে। এখন পর্যন্ত মানচিত্রগুলোতে আটলান্টিক, প্রশান্ত, ভারত মহাসাগর ও আর্কটিক ওশেন তথা উত্তর মহাসাগরের নাম রয়েছে। এবার
সেই হিসাব বদলে যাচ্ছে। তবে রাতারাতি নয়, ১৩০ বছর ধরে এ নিয়ে গবেষণার পরই এই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির পাশাপাশি দক্ষিণ মহাসাগরকে পঞ্চম মহাসাগর হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইউএস বোর্ড অন জিওগ্রাফিক নেমসও। এর বিস্তৃতি অ্যান্টার্কটিকা উপকূল থেকে ৬০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ পর্যন্ত।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির ভৌগোলিক অ্যালেক্স টেইট জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে চুক্তি না হওয়ায় আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে একে মহাসাগরের স্বীকৃতি দিতে পারিনি। তবে দক্ষিণ মহাসাগর দীর্ঘকাল ধরেই বিজ্ঞানীদের দ্বারা স্বীকৃত।’
আসলে দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে তর্ক ছিল। অ্যান্টার্কটিকার চারপাশে বিপুল জলরাশিকে মহাসাগর হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। ২০০০ সালে প্রথম এই মহাসাগরের সীমানা চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সব দেশের সম্মতি না মেলায় এত দিন মহাসাগরের স্বীকৃতি অধরাই ছিল। অবশেষে মিলল সেই কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন