ইরানের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছেন দেশটির বিচার বিভাগের কট্টরপন্থি প্রধান ইব্রাহিম রাইসি। এর আগে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তার নাম শোনা গেছে। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি হয়তো যাবেন না। তবে শনিবার প্রেসিডেন্ট পদে আগ্রহ দেখিয়ে নিবন্ধন করেন তিনি। ১৯৮৮ সালে ইরানের শত শত কারাবন্দিকে মৃত্যুদ- দেওয়া বিচারিক প্যানেলের সদস্য হিসেবে কট্টরপন্থি ইব্রাহিম রাইসির নাম শোনা গেছে। ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তবে সেই সময় বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির কাছে হেরে যান। নিবন্ধনের আগে এক বিবৃতিতে ইব্রাহিম রাইসি বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি ‘দারিদ্র্য ও দুর্নীতি, নিপীড়ন এবং বৈষম্য’-এর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন।
ইরনারপ্রচারের সময়ে সাংবাদিকদের সামনে কঠোর বক্তব্য রেখেছেন কালো পাগড়ি পরিহিত রাইসি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী ১৮ জুনের ভোটে নির্বাচিত হলে দুর্নীতির অবসান হবে।
এর আগে রুহানির কাছে হেরে গেলেও তিনি এক কোটি ৬০ লাখ ভোট পান। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিয়োগ করেন আয়াতুল্লাহ খোমেনি। তাতে ইঙ্গিত মিলেছিল রাইসির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে আশা ছাড়েননি খোমেনি।
২০১৬ সালে রাইসিকে ইমাম রেজা দাতব্য ফাউন্ডেশন পরিচালনায় নিয়োগ দেন খোমেনি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম রাইসি। টেলিভিশনে প্রচারিত দুর্নীতিবিরোধী প্রচারের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। নির্বাচনে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় প্রার্থী হয়ে উঠতে পারেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন