বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড সংক্রমণ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। গতকাল শুক্রবার জারি করা নতুন এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে ১৬ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত।
নির্দেশনায় যানবাহন, মার্কেট অফিস-আদালতে জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। এছাড়া বাসায় থেকে কাজ করা, রেস্টুরেন্টগুলোতে ডাইনিং বন্ধ রেখে শুধু খাবার ডেলিভারি সার্ভিস চালু রাখা এবং বাসা-বাড়িতে সর্বোচ্চ দুজন দর্শণার্থীর অনুমোদনসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও লোকসমাগমকে নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় প্রবাসী শ্রমিকদের কোভিড বিস্তার থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য, কনস্ট্রাকশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোজতে কর্মরত সবাইকে গতিবিধি অ্যাপস টুগেদার ও বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ ও বিভিন্ন দেশের প্রবাসী শ্রমিকরা তাদের থাকার স্থান ডরমেটরি এবং কাজের স্থানের বাহিরে অন্য কোনো স্থানে ভ্রমণ করার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত অনুমতি নিতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের কঠোরতার কারণে ঈদুল ফিতরে বাংলাদেশি অধ্যুষিত মোস্তফা সেন্টার কাছাকাছি বাংলাদেশিদের উপস্থিতি খুব কম দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে এ বছরের প্রথম থেকে প্রবাসী ও সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের করোনা আক্রান্তের পরিমাণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল, কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির সরকার কোভিড নিয়ন্ত্রণে তাদের নিয়ম-নীতিগুলো কঠিন করেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন