সৌদি বাদশাহ সালমান অব্যাহত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্যে প্রার্থনা করেছেন। সৌদি আরবের ২০ হাজার ৫৬৯টি মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় হয়। বাদশাহ সালমান নিওমে ঈদের জামাতে অংশ নেন। বাদশাহ সারাবিশ্বের মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার শুভেচ্ছা বা সৌদি আরবের কোনো মসজিদে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন, হামলায় নিহতদের জন্যে আল্লাহর কাছে একটি বাক্য উচ্চারণ হয়নি। আরব নিউজ/ডেইলি মেইল
[৩] টুইটে বাদশাহ সালমান রমজানের রোজা ও নামাজ শেষ করে ঈদুল আল-ফিতরকে মঙ্গল ও সন্তুষ্টির লক্ষণ হিসাবে সর্বশক্তিমানকে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান। বাদশাহ বলেন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন সমস্ত বিশ্বকে সমস্ত মন্দ থেকে পরিষ্কার করা যায়, আমাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন এবং তিনি আমাদের অব্যাহত সুরক্ষা, স্থায়িত্ব এবং প্রশান্তি দান করুন। বাদশাহর এ বাণীতেও ফিলিস্তিনি মুসলমানের ওপর কিংবা আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি সন্ত্রাসের কোনো বিন্দুমাত্র উল্লেখ নেই।
সৌদি বাদশাহ তার বাণীতে স্বাস্থ্য, সমাজ, অর্থনীতি ও করোনাভাইরাস মহামারীর কথা উল্লেখ করে বলেন আরব বিশ্বে স্থিতিশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে ইতিবাচক পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি আশাবাদী, যাতে বিশ্বের সমস্ত অঞ্চলে সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি বিরাজ করতে পারে।
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও পবিত্র দুই মসজিদের খাদেম হিসেবে বাদশা সালমান দুনিয়ার খবর রাখবেন এটাই স্বাভাবিক কিন্তু রিয়াদ থেকে ৮৮২ মাইল দূরে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর কি বাদশাহর কানে এখনো পৌঁছেনি?
ফিলিস্তিনিদের ওপর দুর্দশা গত কয়েক দশকে আরো বেড়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সৌদি বাদশাহ আপনিতো ডিল অব দি সেঞ্চুরি করেছেন, তাহলে ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝরছে কেনো?
পৃথিবীতে ইসরায়েল যেমন কৃত্রিম রাষ্ট্র, বাদশাহ আপনাদের আরব রাষ্ট্রগুলোও তেমনি। কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত। আপনাদের জন্মই হয়েছে সাম্রাজ্যবাদীদের দোসর, নতজানু, পদলেহী অবস্থানের জন্যে। প্রতিরোধ কি জিনিস আপনি বাদশা জানেন না, আপনার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র, বোমারু বিমান, ট্যাঙ্ক, গোলাবারুদ ইয়েমেনের নিরস্ত্র মানুষের ওপর বর্ষণ হয় যেমন গাজায় ইসরায়েলিরা আগ্রাসন চালায়।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন