গত সোমবার থেকে অব্যাহত ইসরায়েলের বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ১৬ শিশুসহ ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ৮৬ শিশু ও ৩৯ নারীসহ গুরুতর আহত হয়েছেন ৩৬৫ জন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে ১৩তলা গাজা টাওয়ার। খবর : আল জাজিরার।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আরব-সংখ্যাগরিষ্ঠ লড শহরে অবস্থিত আল-নূর মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলিরা। এই শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়েল সরকার। লড শহরে বসবাসরত ৭৭ হাজার জনগণের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ফিলিস্তিনি।
গাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হামাস বলছে, জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি’আগ্রাসন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাব দিতেই ওই হামলা করা হয়েছে।আল-আকসা মসজিদ এলাকাটি মুসলমান ও ইহুদি ধর্মাবলম্বী – উভয়ের কাছেই পবিত্র স্থান। সোমবার সেখানে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়।
অবিলম্বে ফিলিস্তিনে সব ধরনের দমনমূলক কার্যক্রম থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। আর জানমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বিরত থাকতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন।
এদিকে, গাজা উপত্যকায় এই হামলা-আক্রমণ বন্ধের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা অব্যাহত রাখবে এবং দীর্ঘমেয়াদে পূর্ণ নীরবতা নিয়ে আসবে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস বলেছেন, যুদ্ধ আরও তীব্র হবে বলে মনে করছেন তিনি।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও জেরুজালেমে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে জেরুজালেম, গাজা ও আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ইসরায়েলকে থামাতে এবং ‘পাল্টা শিক্ষা’ দিতে হবে।
সোমবারের হামলা ছাড়াও রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ফিলিস্তিনিরা আল-আকসা মসজিদে জড়ো হলে তাদের ওপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি পুলিশ। গত কয়েকদিনের ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতাকে ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে তীব্র বলা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন