মার্কিন জনপ্রিয় সিরিজ কমিডি শো ‘স্যাটার-ডে নাইট লাইভ’ অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো এক অবাক করা তথ্য দিলেন টেক উদ্যোক্তা এবং বিশ্বের ২য় ধনাঢ্য ব্যাক্তি ইলন মাস্ক। ৪৯ বছর বয়সী এই ধনকুবের জাকজমকপূর্ন অনুষ্ঠানটির শুরুতেই নির্ধিদায় স্বীকার করে বলেন, তিনি ‘অ্যাসপারগার্স সিন্ড্রোম’ নামে এক বিরল স্নায়ুবিক বিকাশজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত। স্কাই নিউজ, বিবিসি
মাস্ক বলেন, আমিই হয়তো এই শো-তে প্রথম ব্যাক্তি, যে অ্যাসপারগার্স নিয়ে অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করছি, এটি আমার কাছে অনেক বেশী আনন্দের।
ইদানিং সোস্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন বিষয়ে হাস্যরসাত্বক লেখা লিখে নতুন করে আলোচনায় মাস্ক। এমন কিছু টুইট নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি আইনী হুমকিরও সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে । এবিষয়ে হাস্যরসাত্বক ভঙ্গিতে কড়া ভাষায় মাস্ক বলেন, ‘দেখুন,আমি জানি মাঝে মধ্যে আমি কিছু উদ্ভট জিনিস বলি কিংবা টুইট করি। কিন্তু আমার মাথা আসলে এভাবেই কাজ করে, আমার মাথায় যা আসে, আমি তাই বলি’।
তিনি আরও বলেন, যারা আমার টুইট গুলো নিয়ে ক্ষুব্ধ, তাদের আমি বলতে চাই, আমি ইলেকট্রিক গাড়ী নতুন করে জন্ম দিয়েছি, রকেটে করে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাচ্ছি, আপনি কি ভাবছেন? আমি সাধারণ মানুষের মতো ফুর্তি করা ‘নরমাল ড্যুড’ হবো?
অনুষ্ঠানের একাংশে মাস্কের মা মডেল মায়ে মাস্ক স্টেজে আসেন এবং মাস্কের শৈশবের বিভিন্ন স্মৃতি দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী মাস্ক বিশ্বের শীর্ষ ৩ ধনীর একজন। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী তার নেট সম্পদের পরিমাণ ১৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, অ্যাসপারগার্স সিন্ড্রোম হলো অটিজমের আরেকটি রূপ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভোগে,যা ওই ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তারা মূলত চারপাশের পরিবেশকে অন্য মানুষের তুলনায় আলাদাভাবে দেখেন। তবে অটিজমের সাথে অ্যাসপারগার্স সিনড্রোমের কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির বুদ্ধির বিকাশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে থাকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন