জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ দ্বিতীয় দিন রাতেও অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৮০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানায়, পুরোনো শহরের দামেস্ক গেটে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উদ্দেশে পাথর ছুড়ে মারে। জবাবে ইসরায়েলি পুলিশ স্ট্যান গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে।
ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, কমপক্ষে তাদের একজন কর্মকর্তা আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের পূর্ব জেরুজালেমের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদের ঘটনায় সৃষ্ট ক্ষোভের কারণে পুরো রমজান মাস জুড়ে এ এলাকার সর্বত্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর আগে শুক্রবার জুমাতুল বিদার দিনে আল-আকসা মসজিদ এলাকায় মুসল্লিদের ওপর হামলা করে পুলিশ। ওই দিন দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়। ১৭ ইসরায়েলি পুলিশ আহত হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
শনিবার রাতে যখন মুসলমানরা পবিত্র শবে কদর পালন করছিল তখনই আবার সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
আল-আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম শ্রদ্ধার স্থান, তবে এটি ইহুদিদের কাছেও একটি পবিত্র স্থান, যাকে তারা টেম্পল মাউন্ট হিসেবে জানেন।
এই স্থানটিতে এর আগেও একাধিকবার সহিংসতা হয়েছে।
শুক্রবার ইসরায়েলি পুলিশ দাবি করে, সন্ধ্যার নামাজের পর ‘হাজার হাজার ধর্মাবলম্বী দাঙ্গা শুরু করলে’ তারা ‘আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য’ শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে।
শুক্রবারের সহিংসতার পর সবাইকে উত্তেজনা প্রশমন করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেই সঙ্গে জেরুজালেমের শাইখ জারাহ এলাকা থেকে উচ্ছেদের হুমকিতে ক্ষোভও বাড়ছে।
ওই দিন জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন যেকোনো ধরনের উচ্ছেদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয়। ‘বিক্ষোভকারীদের প্রতি যেন সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানো হয়’, তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন