ভিয়েনায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তিন ইউরোপীয় দেশ এবং রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ইরানের সংলাপ চলছে
আমেরিকা ইরানের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানালে ভিয়েনায় পাশ্চাত্যের সঙ্গে তেহরানের চলমান সংলাপের ইতি ঘটবে।
ইরানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি শীর্ষস্থানীয় সূত্র প্রেসটিভিকে একথা জানিয়েছে।
সূত্রটি বলেছে, ইরান এখনও পরমাণু সমঝোতার ২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী তেহরানের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রত্যাশা করছে। যদি সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানানোর অবস্থানে আমেরিকা অটল থাকে তবে নিশ্চিতভাবে ভিয়েনা সংলাপের অপমৃত্যু ঘটবে।
সূত্রটি আরও বলেছে, পরমাণু সমঝোতায় যেসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কথা ছিল এবং এটি স্বাক্ষরের পর থেকে বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে যত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তা একযোগে প্রত্যাহার করতে হবে। কেবলমাত্র তাহলেই এই সমঝোতার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হবে এবং তেহরানও তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করবে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতাকে আবার আগের অবস্থায় সক্রিয় করার জন্য অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বর্তমানে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সংলাপ চলছে। সংলাপে আমেরিকা ছাড়া এ সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী বাকি পাঁচ দেশ অংশগ্রহণ করছে। অবশ্য আমেরিকা পরবর্তীতে ওই পাঁচ দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে অংশ নিচ্ছে।
‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন। এরপর এক বছর পর্যন্ত ইরান এই সমঝোতা বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল কিন্তু অন্য পক্ষগুলো সমঝোতা বাস্তবায়ন না করায় ৩৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইরান সমঝোতার বেশকিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত করে দেয়।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দেশকে এই সমঝোতায় ফিরিয়ে আনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তিনি ইরানকে আগে তার প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু ইরান বলেছে, আমেরিকা আগে এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে তাকে আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এতে ফিরে আসতে হবে। ইরান ও আমেরিকার মধ্যকার মতপার্থক্যের এই জায়গাটি নিয়ে মূলত ভিয়েনায় ধারাবাহিক সংলাপ চলছে।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন