করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। মৃত্যু ও সংক্রমণে প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। করোনা মোকাবিলায় রীতিমতো যুদ্ধ করছে বিভিন্ন রাজ্য। কোভিড-১৯ এ ভারতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে মুম্বাই ও দিল্লীতে। এর বাইরে উত্তর প্রদেশের অবস্থা খুবই নাজুক। যদিও উত্তর প্রদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে করোনা এতোই মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে যে হাসপাতালে বেড খালি না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যাচ্ছেন রোগীরা। তারা এক হাসপাতাল থেকে বেডের আশায় আরেক হাসপাতালে যাচ্ছেন, যদি একটি বেড মিলে যায়! এছাড়া দেশজুড়ে অক্সিজেন ও আইসিইউর হাহাকার তো রয়েছেই।
চারটি হাসপাতাল ঘুরেও কানপুর শহরের বাসিন্দা কুনাল জিত সিংহ (৫৮) এর স্বজনরা তার জন্য বেডের ব্যবস্থা করতে পারেননি। পরে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই মারা যান তিনি। তার স্বজনদের প্রতিটি হাসপাতাল থেকেই ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে। পরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যান কুনাল।
তার ছেলে নীরঞ্জন পাল সিং বলেন, ‘দিনটি আমার জন্য খুবই হৃদয়বিদারক ছিল। আমি বিশ্বাস করি, যদি আমার বাবা সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেতেন তাহলে তিনি বেঁচে যেতেন। কিন্তু পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীরা বা সরকার কেউই আমাদের সাহায্য করেনি।’
উত্তর প্রদেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৫১ হাজার ৬২০ জন। মারা গেছেন ৯ হাজার ৮৩০ জন। করোনার প্রথম ঢেউয়ে অন্যান্য রাজ্যে বেহাল অবস্থা হলেও উত্তর প্রদেশ তা ভালোভাবেই মোকাবিলা করে। কিন্তু এর দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্যটিকে খাদের কিনারায় ফেলে দিয়েছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন