পুতিনকে আলোচনার বসার আমন্ত্রণ জানানোর পর মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে রাশিয়া কাজ করেছে এমন অভিযোগের পাশাপাশি সাইবার হামলার প্রসঙ্গ তুলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিস্তৃত পরিসরে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার যেকোনো সময় এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়ার ৩০টি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত ১০ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
গত মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে বাইডেন বলেন, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তিনি ‘দৃঢ়ভাবে’ কাজ করবেন। তৃতীয় কোনো দেশে বৈঠকে বসারও আহ্বান জানান বাইডেন।
মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে নির্বাচনে বিজয়ী বাইডেনের বিরুদ্ধে ‘বিভ্রান্তিমূলক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ’ ছড়িয়েছিল মস্কো। তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে বিদেশি কোনো সরকারের হাত ছিল না বলেও জানানো হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মিডিয়া, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ট্রাম্পের মিত্রদের কাছে বাইডেন বিরোধী বক্তব্য ছড়িয়েছে।
একদিকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে রাশিয়ার সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আবার অন্যদিকে বহিস্কার ও অবরোধের উদ্যোগ নিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
এদিকে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের মার্কিন পদক্ষেপের সমালোচনা করে ওয়াশিংটনকে বেইজিং বলেছে, আগুন নিয়ে খেলবেন না।[৯] এছাড়া ইরানের এক সংসদ সদস্য বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন এখন পর্যন্ত তেহরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির পক্ষে যুক্তি দেখাচ্ছে এবং ট্রাম্প আমলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে এখনো কোনো আন্তরিকতা দেখাতে পারে নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন