দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী অপহরণের শিকার হয়েছেন। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধারসহ চার স্থানীয় যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি পালিয়ে গিয়েছেন।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাত ৮টায় কেপটাউনে মিসেস প্ল্যান থেকে অপহরণ করা হয় মোহাম্মদ সুমনকে।
ঘটনা জানাজানি হলে কমিউনিটির তৎপরতায় ওই রাতেই পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল ট্র্যাকিং করে স্থান চিহ্নিত করে উদ্ধারে নামে প্রশাসন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি করলে উভয় পক্ষের মধ্যে শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে চার কার্লাড যুবককে আহত অবস্থায় পুলিশ আটক করে। পুলিশ তাদের দেয়া তথ্য মতে বাংলাদেশি মুহাম্মদ সুমনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক যুবকরা জানান, বাংলাদেশি মুহাম্মদ সুমনকে অপহরণ করতে আরেক বাংলাদেশি শাওন নামের একজন টাকার বিনিময়ে তাদের ব্যবহার করেছে। অভিযুক্ত শাওন ঘটনার পর থেকে গাঢাকা দিয়েছেন।
অপহরণে অভিযুক্ত মূলপরিকল্পনাকারী শাওন
উদ্ধার হওয়ার পর অপহৃত সুমন বাদী হয়ে শাওনকে ১নং আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে অপহরণের সঙ্গে অভিযুক্ত শাওনকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। শাওন লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জের শেখপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
কেপটাউন থেকে কমিউনিটির একজন দায়িত্বশীল জানান, কেপটাউনের মিসেস প্ল্যান এলাকার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মুহাম্মদ সুমনকে অপহরণের জন্য টার্গেট করে শাওন নামে একজন বাংলাদেশি। শাওন ও সুমন দুইজনেরই নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুরে বাড়ি। সেই সুবাদে সুমনের সঙ্গে শাওনের জানাশোনা ছিল। ওই এলাকায় তিনটি দোকানের মালিক সুমনকে অপহরণের জন্য শাওন পেশাদার অপহরণ চক্রের সদস্য কালার্ড যুবককে ভাড়া করে। ঘটনার দিন রাত ৮টার সময় সুমনকে অস্ত্রের মুখে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
পরে রাত ৩টার সময় সুমনের ভাইয়ের কাছে পাঁচ লাখ রেন্ড (স্থানীয় মুদ্রা) দাবি করে ফোন করে অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে মুক্তিপণ নিয়ে দরকষাকষি চলতে থাকে। সর্বশেষ ৭৮ হাজার রেন্ড চূড়ান্ত হয়।
এদিকে টাকা পরিশোধের জন্য সুমনের ভাই ও কেপটাউন বাংলাদেশ কমিউনিটির কয়েকজন দায়িত্বশীল পুলিশের সহযোগিতা নেয়। পুলিশ অপহরণকারীর মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে অপহরণকারীদের ধরতে সক্ষম হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন