মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মুখে মাস্ক আর রুমালে ঢাকা দুই যুবক কৌশলে বাড়ি ঢুকে প্রায় ৯ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নে গাছবাড়ি এলাকায় রনি সাহার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত সাটুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রনি সাহার স্ত্রীর জ্ঞান ফেরেনি বলে জানা গেছে।
এদিকে রনি সাহার ভাই রাজিব সাহা শুক্রবার সন্ধ্যায় সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে যান। তবে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাকে বলেন, সন্ধ্যা হয়ে গেছে আমরা শনিবার ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।
বিষয়টি রাত ৯টার দিকে টেলিফোনে জানতে চাইলে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সুকুমার বিশ্বাস জানান, এ ঘটনা তাকে কেউ অবহিত করেনি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, রনি সাহা মিষ্টি ও বিরিয়ানির প্যাকেট বিক্রি করেন। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে মাস্ক পড়া ও মুখে রুমাল বেঁধে দুই যুবক গ্রাহক সেজে রনি সাহার দোকানে যায়। রনি সাহার স্ত্রী পূজা রানী সাহাকে তারা জানায়- আমাদের কিছু বিরিয়ানির প্যাকেট দরকার। আমরা নদীর ওপার থেকে আসছি। রনি দাদার অপেক্ষায় আছি জানিয়ে তারা গল্পের ছলে স্ত্রী ও কর্মচারীর মুখের সামনে কৌশলে রুমাল নেড়ে চেতনা নাশক ছড়ায়।
এক পর্যায়ে রনি সাহার স্ত্রী ঘুমের ভাব হলে গেট আটকিয়ে বসত বাড়ির ভেতর চলে যান। কর্মচারী দোকানের মধ্যেই ঘুমে ঢলে পড়েন। এ সুযোগে সুপারি গাছে চড়ে ছাদে গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দুই যুবক বসত বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর ঘরে থাকা আলমারি ও শোকেসের তালা ভেঙ্গে নগদ প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা, প্রায় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
রনি সাহা বলেন, আমি দোকান কিংবা বাড়িতে নেই জেনেই কাজটি করেছে। মাস্ক আর রুমালে ঢাকা থাকায় ওদের চেনার উপায় ছিল না। আমার বাড়িতে এক প্যাকেট লবণ কেনার টাকাও আর নেই বলে জানান রনি সাহা।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. কামরুল হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের ভূমিকায় কোনো গাফিলতি থাকলে তারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন