সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত জুন মাস থেকে গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পাঁচ মাসে নানা পর্যায়ে আলোচনা হলেও এ বিষয়ে সুরাহার কোনো আলো দেখা যায়নি। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিদিনের সেবা থেকে। এ নিয়ে কালের কণ্ঠ’র সাথে কথা হয়েছে গ্রামীণফোনের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাতের সাথে।
কালের কণ্ঠ: সম্প্রতি, আপনাদের রিসাইকেল সিম বিক্রির অনুমোদন নিয়ে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সিম বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার এখন ৭৮ হাজার কর্পোরেট সিম বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তার মানে কি সাধারণ গ্রাহকরা চাইলেও আপনাদের সেবা ব্যবহার করতে পারবে না?
হোসেন সাদাত: এটি অত্যন্ত হতাশার হলেও সত্যি যে সাধারণ গ্রাহকের সিমের চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারছি না। এটি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির জন্য ঋণাত্মক, যার প্রমাণ আমরা দেখছি ক্রমাগত মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাওয়ার মাধ্যমে। একইসাথে এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিপন্থী। আমরা গত পাঁচ মাসে একদিকে যেমন ধারাবাহিকভাবে সেবারমান উন্নত করে চলেছি একইসাথে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সব ধরনের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করেছি। এতো কিছুর পরও আমাদের শুধুমাত্র কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে সিম বিক্রির অনুমতি আমরা পেয়েছি। সাধারণ গ্রাহকদের প্রত্যাশাকে বিবেচনাতেই নেয়া হয়নি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিগত ২৫ বছরের বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আমরা ভূমিকা রেখে চলেছি। কিন্তু এখন টেলিযোগাযোগ খাতের লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের যে ভূমিকা, তা পালন করতে না পারা আমাদের জন্য অনেক হতাশার।
আপনি জেনে অবাক হবেন, গ্রামীণফোনের প্রতি আমাদের গ্রাহকদের আস্থা কতোটা গভীর। গত অক্টোবর পর্যন্ত আমরা প্রায় ৩৪ লাখ গ্রাহক হারিয়েছি। আপনি যদি দেখেন. সম্প্রতি বিটিআরসির হিসাবে টেলিযোগাযোগখাতে বিপরীতমুখী প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ আমাদের মোবাইল গ্রাহক কমে যাচ্ছে। এর মানে হলো গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি বন্ধ থাকলেও গ্রাহকরা অন্যদের অন্য অপারেটরদের কাছ থেকে সেবা নিচ্ছেন বিষয়টি এমন হচ্ছে না। রিসাইকেল সিম বিক্রি শুরু হয়েছিল। আমরা গ্রাহকদের চাহিদা কিছুটা হলেও মেটাতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্ত্র সেটি আবার হঠাৎ করে বন্ধ করা হয়েছে। কী কারণে এটা করা হয়েছে সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। এবার সীমিত আকারে কর্পোরেট গ্রাহকদের জন্য কিছু সিম বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হলো, যেখানে মূলত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোকে আমরা সীমিত আকারে সিম দিতে পারবো। আমরা খুবই হতাশ। কেননা, আমাদের সাধারণ গ্রাহকরা আমাদের সেলস সেন্টারে এসে সিম না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। আমরা মনে করি, সকল গ্রাহক সমানভাবে আমাদের সেবা প্রাপ্তির অধিকার রাখেন। এজন্য বিটিআরসির কাছে সবার জন্য আমাদের সিম বিক্রির আবারো অনুমোদন দেওয়ার অনুরোধ করেছি। এখন আমরা যেসব সিম বিক্রির অনুমোদন পেয়েছি তা দিয়ে মূলত সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের চাহিদা সীমিত সময়ের জন্য মেটানো সম্ভব। এর বাইরে লাখো গ্রাহককে আমাদের সেবা থেকে বঞ্চিত করতে হচ্ছে। সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি আমাদের জন্য খুবই পীড়াদায়ক।
বৈশ্বিকভাবে আমরা সবাই নানা ধরনের চাপের মধ্যে আছি। গ্রাহকদের জন্য কানেক্টিভিটি এ মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি কানেক্টিভিটি একটি মানুষকে উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করে। মানুষের আয় থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রমের বড় অংশ এখন মোবাইল ফোন। বাংলাদেশের এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে মানুষ শুধুমাত্র গ্রামীণফোনের সিমের ওপর নির্ভর করে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আমরা মনে করি এ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে সবার জন্য সিম দ্রুত উম্মুক্ত করা প্রয়োজন।
কালের কণ্ঠ: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি বন্ধ প্রায় ছয় মাস হতে চললো। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগখাতে এই প্রথম এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা। বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন?
হোসেন সাদাত: আমি শুরুতেই বলবো এটি খুবই হতাশাজনক। আমরা মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সেবা প্রাপ্তি নিয়ে গ্রাহকের কিছু অভিযোগ থাকবে, কিছু ভালো লাগা থাকবে- এটাই স্বাভাবিক এবং আমরা কখনোই তা অস্বীকার করি না। আর রেডিও টেকনোলজি-নির্ভর মোবাইল সেবায় বিশ্বব্যাপী সেবার মান নির্ধারণ করা আছে, যা আমরা মেনে চলেছি।
পৃথিবীতে এমন একটি উদাহরণ কোথাও পাবেন না যেখানে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ আমাদের এখানে এমএনপি (মোবাইল নম্বর পোর্টাবিলিটি) আছে, গ্রাহকের যদি আমাদের সেবা পছন্দ না হয় তবে গ্রাহক অন্য অপারেটর বেছে নিতে পারেন। আমাদের সেবা যদি গ্রাহকে সন্তুষ্ট না করতো তবে তারা অন্য কাউকে বেছে নিতেন। এখানে আমি একটি বাস্তব উদাহরণ শেয়ার করতে চাই। এমএনপি সেবা নিয়ে আমাদের কিছু গ্রাহক অন্য অপারেটরে এগিয়েছিলেন। কিন্ত তারা এখন আবার আমাদের নেটওয়ার্কে ফিরে আসতে চাইছেন, আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে পারছি না। আমরা দেখছি আমাদের নেটওয়ার্কের ওপর গ্রাহকদের আস্থা রয়েছে এবং এখানে গ্রাহকদের স্বাধীনভাবে সেবা নেয়ার অধিকার রক্ষা করা প্রয়োজন, যেখানে একটি লেভেল প্লেয়িংফিল্ড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের সেবা এতোটাই খারাপ হলে গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে পারতাম না। তাই, আমরা মনে করি, এ ধরনের সিদ্ধান্ত সমীচিন নয় বরং গ্রাহকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর।
কালের কণ্ঠ: বলা হচ্ছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন নেটওয়ার্ক খারাপ ছিল। আসলে কী ঘটেছিল সেদিন?
হোসেন সাদাত: দেখুন পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবের প্রকল্প। এর সাথে আমাদের জাতিসত্ত্বা জড়িত। একই সঙ্গে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এটি আমাদের বিশাল এক অর্জন। আমরা সবাই জাতি হিসেবে পদ্মা সেতু প্রকল্প ধারণ করি। এখন আসি আমাদের সেবা নিয়ে। শুধুমাত্র পদ্মা সেতুই নয়, দেশের অন্যান্য অনেক বড় প্রকল্পের টেলিযোগাযোগ সেবার পার্টনার গ্রামীণফোন। পদ্মা সেতু সাড়ে ছয় কিলোমিটার একটি প্রকল্প। এখানে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা অন্যান্য স্থানের মতো সহজ নয়। আমরা কোনো অপারেটরই ব্রিজে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের অনুমোদন পাইনি। তবে আমাদের রেগুলেটর এ বিষয়ে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে। খুবই অল্প সময়ের নোটিশে বিটিআরসির দিক-নির্দেশনায় আমার সব অপারেটর মিলে আমাদের উদ্ভাবনী দিয়ে অস্থায়ীভাবে এখানে নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছি। যার মাধ্যমে গ্রাহকরা ব্রীজ পার হবার সময় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক পাচ্ছেন।
কালের কণ্ঠ: এরপরে সমস্যা সমাধানে আপনারা কী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন?
হোসেন সাদাত: আমরা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপরই আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেবার মাননিয়ে আমাদের রেগুলেটর এখন অনেক বেশি সজাগ। সেবার মানোন্নয়নে বিটিআরসি আমাদের অনেকগুলো দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোও বিটিআরসি আমলে নিয়েছে। আমরা তাদের নিদের্শনা অনুযায়ী কাজ করছি - নেটওয়ার্কের মানোন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর বাইরে আমরা বিটিআরসির নিদের্শনা অনুযায়ী গ্রাহকদের কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছি এবং গ্রাহকরা একটি নম্বর ডায়াল করে পাপ্ত ক্ষতিপূরণের হিসাব দেখতে পারছেন। এটি খুবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়া যেখানে গ্রাহকদের কাছে আমরা দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করছি।
কালের কণ্ঠ: কোন নিদের্শনা সেবার মানে উন্নয়ন ঘটিয়েছে?
হোসেন সাদাত: বিটিআরসি আমাদের স্পেকট্রাম রোল আউট, নেটওয়ার্ক টাওয়ারগুলো ফোরজি করা, ফাইবারাইজেশন, টাওয়ারকো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির বাস্তবায়নসহ অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা এসব বাস্তবায়ন করছি। আমাদের ১৯ হাজারেরও বেশি নেটওয়ার্ক সাইট এখন ফোরজি সমর্থিত। আমরা ২১০০ মেগাহার্টজের স্পেকট্রামের ১০০ শতাংশ আমাদের নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছি। পাশাপাশি আমরা ২৬০০ মেগাহার্টজের নতুন স্পেকট্রাম নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করার কাজ শুরু করছি। টাওয়ারকো নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষ করেছি এবং বিটিআরসি ইতিমধ্যেএ বিষয় সংক্রান্ত সম্মতিও দিয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি, বিটিআরসি’র নিদের্শনায় গত সেপ্টম্বর পর্যন্ত আমরা প্রায় ২৭ শতাংশ টাওয়ার ফাইবার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করেছি, যা গত বছরের শেষে ছিল মাত্র ১৭ শতাংশ।
এর বাইরে বিটিআরসি তাদের নিজস্ব ড্রাইভ টেস্টের বিপরীতে সব অপারেটরদের নিদের্শনা দিয়েছিল সেবার মানোন্নয়ন করে পুনরায় দেশব্যাপী ড্রাইভ টেস্ট করে কমিশনে দাখিল করতে। আমরা কলড্রপ, ইন্টারনেট স্পিডসহ বিটিআরসি’র নিদের্শিত সকল টার্গেটে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছি এবং সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশ করেছি। এর বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বাধীন রিপোর্টে, যেমন ওপেন সিগন্যাল, টিউটেলারে আমাদের নেটওয়ার্ক মানসম্মতই পাওয়া গেছে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। কারণ আমরা জানি গ্রামীণফোনের সফলতা আসে গ্রাহকদের আস্থা থেকে। আমরা সে জায়গা ধরে রাখবো আমাদের নিজেদের স্বার্থেই। আমরা বিটিআরসিকে একটি যৌথ ড্রাইভ টেস্ট করার জন্য অনুরোধ করছি, যেখানে আমাদের এবং অন্য মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক মানোন্নয়ন পরীক্ষা করা যেতে পারে। তার ভিত্তিতে প্রতিটি অপারেটর তাদের নেটওয়ার্ক উন্নয়ন করতে পারে। আমরা যদি গ্রাহকদের স্বাধীন পছন্দ, বিনিয়োগকারীদের অধিকার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা চিন্তা করি তাহলে একটি অপারেটরের সিম বিক্রি বন্ধ রাখা যে কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।
কালের কণ্ঠ: গ্রামীণফোন কী মনে করছে তাদের জন্য পরিবেশটি বৈরী?
হোসেন সাদাত: বিষয়টি আসলে একেবারেই বৈরী নয়। আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, রেগুলেটর রয়েছে। আমরা সবাই এক সঙ্গে একটি লক্ষ্য পূরণে কাজ করি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শেষে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের মধ্যে বৈরিতা নেই বরং সহযোগিতাই বেশি আমি বলবো। কভিড মহামারির সময় আমরা দুটি সফল স্পেকট্রাম অকশন করেছি, আমরা টাওয়ারকো এবং ফাইবার রোল আউটের মতো বহুদিনের সমস্যা সমাধান করেছি। এগুলো সবই হয়েছে আমাদের মধ্যে সহযোগিতা এবং একসাথে কাজ করার মানসিকতা থেকেই গ্রামীণফোন প্রতিটি ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মোবাইল ইন্ডাস্ট্রির সফলতা এখানেই থেমে যাওয়া উচিত নয়। আমরা মনে করি সিম নিষেধাজ্ঞা অচিরেই উঠিয়ে দিয়ে আমাদের আবারো একসাথে সহযোগিতামূলকভাবে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারি।
কালের কণ্ঠ: অনেক দিন পার হয়েছে। কোনো আশার আলো কি দেখছেন? সুরাহার বিষয়টি কতো দূর?
হোসেন সাদাত: আমরা গ্রাহকসেবা নিয়ে কাজ করি, তাই আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিটি দিনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের গ্রাহকরা যখন সেবা নিতে এসে ফিরে যায়, তার ফলাফল শুধু আমাদের ওপর নয়, আমি বলবো দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিষয়টি গভীরভাবে ভাবার সুযোগ রয়েছে। আমরা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, ডিজিটাল বাংলাদেশে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কখনোই সঠিক হতে পারে না। এর সুরাহা প্রয়োজন। মান সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্ব ইকোসিস্টেমের সবার। আমরা গ্রাহকের কাছে দায়বদ্ধ। সবাই যদি বিষয়টি সুরাহার জন্য ইতিবাচকভাবে এগিয়ে আসে, তাহলে আজই এর সমাধান সম্ভব। আমরা সরকারের সে সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে আছি। আমরা বিশ্বাস করি, শিগগিরই আমরা এর সমাধান পাবো।
কালের কণ্ঠ: গ্রাহকদের জন্য যদি কিছু বলতে চান...
হোসেন সাদাত: আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। গ্রাহকদের কাছে আমাদের আবেদন, গ্রমীণফোন আজ যতোটুকু সফলতা অর্জন করেছে, তা আপনাদের আস্থার কারণেই। সবসময়ের মতো আপনারা আমাদের পাশে থাকুন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন