চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। একইসঙ্গে চিনির ওপর আরোপ করা আমদানি শুল্ক মওকুফ এবং ব্যাংক রেটে ডলার চেয়েছে তারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে গত বুধবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম রহমান। প্রতি কেজি চিনিতে কত টাকা বাড়াতে চাওয়া হয়েছে তা ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।
সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘চিনির রিফাইনারিগুলো বিলম্বে মূল্য পরিশোধের সুবিধা নিয়ে ঋণপত্র খোলার পর মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে বিপুল লোকসান হচ্ছে কোম্পানিগুলোর।’
এতে বলা হয়, ‘অপরিশোধিত চিনি আমদানির জন্য যখন ঋণপত্র খোলা হয়, তখন ডলারের দাম ছিল ৮৩-৮৫ টাকা। কিন্তু এখন ওইসব এলসির মূল্য পরিশোধের সময় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমাদের কাছ থেকে প্রতি ডলার ১১৫ টাকা হারে বিনিময়মূল্য আদায় করছে। এতে চিনি আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে বাড়তি অর্থ।’
চিঠিতে বলা হয়, আগে টনপ্রতি চিনি আমদানিতে শুল্ক দিতে হতো ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজার টাকা। ডলারের দাম বাড়ায় এখন শুল্ক দিতে হচ্ছে টনপ্রতি ২৮ হাজার থেকে ২৯ হাজার টাকা। এতে পরিশোধন শেষে প্রতিমণ চিনির মিলগেট দাম দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ৭০৩ থেকে ৩ হাজার ৮৮৮ টাকা। কিন্তু চিনি বিক্রি করতে হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার ৯২০ টাকায়। এ পরিস্থিতিতে চিনির দাম বাড়াতে না পারলে লোকসান বেড়ে কারখানাগুলো দেউলিয়ায় পরিণত হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন