লক্ষ্মীপুরে রাতের খাবার খেয়ে একই পরিবারের ১০ সদস্য অচেতন হয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুক্রবার (২৭ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কারণে তারা অসুস্থ হয়েছেন তা জানাতে পারেননি চিকিৎসক।
এদিকে পরিবারের সদস্যরা অচেতন হওয়ার সুযোগে দূর্বৃত্তরা তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকাসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মটুবী গ্রামের দাশ বাড়ির কানু লাল দাসের ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
অসু্স্থ ব্যক্তিরা হলেন কানু লাল দাস (৯০),কমলা রানী দাস (৭৫),রবি দাস (৪৮),সমীর দাস (৪৪), অংকর দাস (১৪), অহনা দাস (১২), নারায়ন দাস (৭৫), লক্ষ্মী রানী দাস (৬৫), তিমু রানী দায(২৮) ও কান্তি লাল দাস (৭৫)।
পুলিশ ও ভূক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমাতে যায়। ঘুমের মধ্যেই তারা অচেতন হয়ে পড়ে। রাতের কোনো একসময় একজন মোটামুটি স্বাভাবিক হয়। অন্যদেরকে ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। এদিকে কারও কানে-গলায় স্বর্ণালংকার না দেখে চিৎকার চেচামেচি করে। খবর পেয়ে রাত ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
কানু লাল দাশের বড় ছেলে খাবার হোটেলের শ্রমিক রতন দাস বলেন, আমি রাতে হোটেলে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে যায়। কে বা কারা খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দিয়েছে। সেই খাবার খেয়ে আমার বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘরে থাকা নগদ টাকাসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে দূর্বৃত্তরা। ।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমান হোসেন বলেন, অসুস্থ ব্যক্তিদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে দুই জন বেশি অসুস্থ। তবে কি কারণে তারা অসুস্থ হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ২৪ ঘণ্টা পর আসল কারণ জানা যাবে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বর্ণালংকার ও টাকা লুটের ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। অসুস্থ ব্যক্তিরা স্বাভাবিক হলে তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন