রাজধানীর নিকেতনে গৃহকর্ত্রীর হাতে গৃহকর্মী খুনের ঘটনায় অজ্ঞাত সেই তরুণীর লাশ শনাক্ত ও মুল আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গৃহকর্তা সৈয়দ জসীমুল হাসান ও তার স্ত্রী সৈয়দা সামিনা হাসান। এ ঘটনায় আরেক আসামি ড্রাইভার রমজান আলী পলাতক রয়েছেন। পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২ ডিসেম্বর তুরাগ দিয়াবাড়ীর ঝাউবন এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই নারীর নাম পারভীন ওরফে ফেন্সি। তার স্বামীর নাম মোমিনুল ইসলাম।
ফেন্সির স্বজনরা জানায়, নিহত ফেন্সি এক-দেড় বছর আগে অভাবের তাড়নায় স্বামী সন্তানসহ ঢাকা শহরে চলে আসেন। ঢাকাতে এসে তিনি গুলশান নিকেতনের সৈয়দ জসীমুল হাসানের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ঘটনার দিন ১ ডিসেম্বর সকালে ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে গৃহকর্মী সৈয়দা সামিনা হাসান তাকে লাঠি দিয়ে পেটান। এতে ফেন্সি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তাৎক্ষনিকভাবে জ্ঞান হারান এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
পরে গৃহকর্তা ও তার স্ত্রী পরামর্শ করে লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে ড্রাইভার রমজান আলীর সহায়তায় প্রাইভেটকারে করে তুরাগ দিয়াবাড়ী এলাকায় ঝাউবনে ফেলে আসেন। এ ঘটনায় নিহত ফেন্সির স্বামী মোমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে তুরাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) তদন্তভার গ্রহণ করে পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ তরিকুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এরপর তিনি আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।
পরে আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পিবিআই প্রাইভেটকার থেকে একটি লাঠি ও একটি বিছানার চাদর ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন