জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যদের জন্যই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে মন্তব্য করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ যা যা করার করছে। তবে, জাতিসংঘের শক্তিটা হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য, তারা হলো ‘মাতব্বর’। এরা একজন যদি আপত্তি করে সেখানে জাতিসংঘ কিছুই করতে পারে না। তার ফলে আমাদের রোহিঙ্গা সমস্যা, ফিলিস্তিনের সমস্যা ঝুলেই আছে।
জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিশ্ব সংস্থাটিতে বাংলাদেশের সাবেক এই স্থায়ী প্রতিনিধি পরাশক্তি দেশগুলোকে নিয়ে মুখ খোলেন।
মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের আগস্টে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। তবে বিপুলসংখ্যক এই শরণার্থী এখন ‘বোঝা’ হিসেবে দেখছে সরকার।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ, যাকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলেছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।
প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মিয়ানমারকে চাপ দিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশে সৃষ্ট শরণার্থী সংকট সমাধানে মিয়ানমার যাতে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করে, সে জন্য নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব তোলার উদ্যোগ চার বছর আগে নিয়েছিল যুক্তরাজ্য। তবে চীন ও রাশিয়া ওই উদ্যোগ বর্জন করে।
চীন-রাশিয়া ‘সদয়’ হবে– এই প্রত্যাশা রেখে মোমেন বলেন, ‘কারণ সেখানে এই নিরাপত্তা পরিষদ, জাতিসংঘের নিজের কোনো শক্তি নাই, তার শক্তি হচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া শক্তি- সে কারণে আমরা ঝুলে আছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে যারা ঝুলিয়ে রেখেছে, তারা আরও সদয় হবে, বিশেষ করে রাশিয়া এবং চীন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন