কুমিল্লার মুরাদনগরে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর হেলাল হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন আটক হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) সাদেকুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আদলতের জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, নিহত হেলাল ও আরিফ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। সেই সুবাদে হেলাল প্রায় আরিফের বাড়িতে রাত্রি যাপন করতেন। এক পর্যায়ে আরিফের মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে হেলালের। প্রায় দুমাস আগে হেলালকে তার মায়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন আরিফ। এর পর থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু শত্রুতায় রূপ নেয়। ১২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাতে হেলালসহ আরো পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে নেশা করার উদ্দেশে নবীপুর মেসার্স নিউ থ্রি স্টার ব্রিকস ফিল্ডে যান আরিফ। নেশায় বুদ হওয়ার পর পকেটে থাকা খুর দিয়ে হেলালের গলায় পোচ মারেন আরিফ। মাটিতে শুয়ে পরলে সঙ্গে থাকা বন্ধুদের সহযোগিতায় নিয়ে হেলালের গোপানঙ্গে কেটে ফেলেন আরিফ। পরে লাশ ডুবিয়ে ফেলে পালিয়ে যান তারা।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত আটককৃতরা হলেন- জয়নাল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (২৪), আলী আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (২৫), হিরন মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২২), হারুন মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২১) ও আবু তাহেরের ছেলে এরশাদ (২৯)। তবে ঘটনার মূল নায়ক কালাম মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া (২২) এখনো পলাতক। তারা সবাই উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কের নিউ থ্রি স্টার ব্রিকস্ ফিল্ডের পাশের ডোবা থেকে উপজেলার রহিমপুর গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন (২১) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন